শরৎশশী দর্শন
        ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


বেলা-শেষের ক্ষণিক পূর্বে ঈশ্বর ও প্রকৃতির মিলনে সৃষ্টি
দেহে, আজ প্রথম যেন আমার আত্মা করলো প্রবেশ।
আগমনীর আনন্দ ধারা যে ধরাকে সাজিয়ে তোলে,
সেখানেই তো পায় প্রাণের-পূর্ণতা।
শরতের এই গোধূলি অনন্ত-অন্তরীক্ষ জুড়ে রং তুলিতে
মনোমুগ্ধকর যে চিত্র অঙ্কিত করেছে,
তার জ্যোতিঃ মনের ক্লান্তি দূরীভূত করে থামিয়ে দিয়েছে
চঞ্চলতা।
এবং সারস ডানায় ভর করে ওই আকাশে শুভ্র ভাসমান যে  
পুঞ্জীভূত জলীয় বাষ্প কাশবন ছুঁয়ে উড়ে চলেছে,
তা দেখতে গিরিরাজ রাজ্যের পথ ধরে আমি হারিয়ে যাই।


নিশুতি-নিশির চুপিসারে প্রবেশের দ্বার খুলে আজ যে বধূ
নেমেছে ঝর্ণা ধারায়, তা দেখে নিমজ্জিত নয়ন থমকে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন জাগে সে-কি তিলোত্তমা, না মোহিনী?
নাকি শিল্পী নন্দিত ভাস্কর্য কোন এক নর্তকীর মূর্তি ?
যার সর্ব শরীর এবং মুখমণ্ডল এতটাই তেজস্বী দ্বার আবৃত,
যা মনকে মোহ গ্রস্ত করে দেয়।
মনে হয় সে নিছক মায়া,অথবা অন্তরের-অন্তরালে থাকা
দানব-দলন কারী কোন এক দেবী।


তাই প্রহরীর পলকে প্রবেশ করেছি আলোক সজ্জিত,
সুগন্ধযুক্ত, শরৎশশী সেই মানবীর মুখ দর্শনে।
প্রস্তর যুগে তিমির মঞ্চে আলোড়ন সৃষ্টকারী সেই সুদর্শনা
রূপ, আজও এখানেই অব্যাহত।
আর তা দেখে নত চিত্তে পদচিহ্ন পেতে যখনি লুণ্ঠিত হয়েছি,
দলিত হয়েছে আমার এই দেহ তথাকথিত সামাজিকতা নামক
অসামাজিকতার পদাঘাতে।
কারণ পৃথিবীর কোণে-কোণে  গন্ধ যুক্ত পচনশীল পাপী যে
অশ্বত্থামা বসবাস করে, সে নাকি আমি।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ইং-৩ অক্টোবর ২০১৯ সাল
বাংলা- ১৮ আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ.. (বৃহস্পতিবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।