সৃষ্টি কে ভালোবাসতে হবে
     ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


মানুষ সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে উঠেছে তাদের চিন্তা, বুদ্ধি, জ্ঞান,
একতা,সামর্থ্য-শক্তি, এবং নিজস্ব মনোভাব প্রকাশের ভাষা
আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে।


কিন্তু এই শ্রেষ্ঠত্বের পিছনে সবচেয়ে বড়ো অবদান হচ্ছে,
আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব সুবিধার ভাবনা।
তাই সে ধর্ম বা সম্প্রদায়, সমাজ অথবা বিজ্ঞান, আমরা যা
কিছু সৃষ্টি করেছি বা যে সকল কার্য করে থাকি না কেন,
কেবল নিজেদের সুবিধার্থে।


যদিও এই বৃহৎ জীব জগতের মাঝে সবসময় নিজেদের
সুবিধার কথা ভাবাও এক ধরণের স্বার্থবাদী।
এখানে শুধু মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, আর সকল
প্রাণীকে করা হয়েছে নিজেদের কাজে বা ভোজনে ব্যবহার।


একটা সময়ে এসে আমরা মানব ধর্ম কে বড়ো করে দেখেছি,
মানুষ হয়ে মানুষকে ভালবেসেছি, সুখে-দুঃখে-হাসি-আনন্দে-
এই মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
হক সে মহামারী অথবা যুদ্ধ , প্রলয় কিম্বা বিধ্বংস, মানুষ
মানুষের পাশে থেকেছে চিরকাল।


যদিও সে চিন্তা চেতনা পরিবর্তন হয়েছে, এবং সময়ের সাথে
সাথে পরিবর্তন হবে মানুষের মানসিকতা-মানবিকতা মানুষত্ব
বা পরোপকারী বোধ।


এবং সেই সাথে জীবনকে করা হচ্ছে অনেক সংক্ষিপ্ত।
নিজেকে চিনতে চাই না,দেখাতে  ভুলে যাই অন্যদের প্রতি
প্রীতি এবং ভালোবাসা।
এর কারণ হচ্ছে মানুষের লোভ, লালসা, সামর্থ্য,এবং অহংকার।


কিন্তু প্রকাশের বিষয় অনুভব করতে গেলে, আমরা অনুভব
করি মানুষের কষ্ট-দুঃখ-জন্ম-মৃত্যু-বিরহ-বেদনা-বিদ্রোহ-
প্রেম-সামর্থ্য বা অসামর্থ্য, এবং সংসার।
কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসে কখনো অন্য প্রাণীদের জীবনকে
অনুভব করতেই চাই না।


কিন্তু তারাও তো জীব, জীবন উপলব্ধিতে আমরা যা কিছু
পাই, তারও তো তাই অনুভব করে।
তবে আমরা কেন তাদের ব্যবহার করে থাকি?
যদি আত্মহত্যা অপরাধ হয়ে থাকে, তবে জোর জুলুম করে
জীব হত্যা করাও অপরাধ।


যদি আমরা বিচার-আচার-সভ্যতা, এবং সংস্কার কে গুরুত্ব
দেই,তবে তার সীমাবদ্ধতা কি কেবল মানবকুলকে ঘিরে?
ক্ষুধার লালসা যদি কারো রক্ত এবং মাংস হয়ে থাকে,
তবে জীবনের লালসা কে কি জীবন দিয়ে মেটানো সম্ভব?


তাই হত্যা নয়, সৃষ্টি কে ভালোবাসতে হবে।
একমাত্র প্রেম- ভালোবাসায় প্রকাশ পায় জীবনের সুন্দরতা
এবং মোচন হয় সকল দারিদ্র্যতা।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল,৬ এপ্রিল ২০২০ সাল,
বাংলা ২৩ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, সোমবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।