সুখের খরিদদার
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


সুখের খরিদদার যারা, তারা সুখের দিনে বন্ধুত্ব করে।
কিন্তু, সুখ ফুরিয়ে গেলে ওরা চলে যায় অন্তরালে।
অতীত বসন্তে যখন ফুলে-ফুলে সেজে উঠেছিলাম,
তখন মৌমাছিদের অভাব ছিল না।
কিন্তু আজ যখন আমি রিক্ত, ফুল-ফল সুখ হারিয়ে ক্লান্ত,
ডুবে গিয়েছি সহসা শ্রাবণে! তখন থেকে আমি একাকীত্ব -
এই ভুবনে।


এখন আর মৌমাছি আসে না পীযুষ পিপাসায়,
গোধূলির প্রারম্ভে বাসায় ফিরে আসে না পাখির দল,
সূর্যের আলোয় রঙিন হয়না আমার মুখ,
হৃদয় জুড়ে শুধু শূন্যতা, দরিদ্রতা, আর নির্জনতা।
তবে কোথায় চলে গেলো সেই শত-শত বন্ধু আমার?
আজ যখনি দুঃখের সাগরে ডুবে আছি,
অশ্রুজলে কাছে ডেকেছি, মিনতি করেছি,
চিৎকার করে বলেছি ওগো বন্ধু হাত ধরো সাহায্য করো,
কিন্তু সম্মুখে নিরলস রিক্ত  দিগন্ত ছাড়া আর কেউ দাঁড়িয়ে নেই।


এই বুঝি তোমাদের বন্ধুত্ব? যত স্বার্থবাদী লোভী
নপুংসকের দল বাধিয়ে কোলাহল হয়েছো নিখোঁজ।
দিবস রজনী এখন ক্রন্দন করি, অনাহারে মরি,
অন্তরে স্বজন হারা ব্যথা কেউ বোঝে না আকুলতা
জলে প্লাবিত বুকে আর কোন বন্ধুর পদচিহ্ন পড়ে না।
এমন দুর্দিনে যাদের মনে জাগে না প্রেম
তারা বন্ধু নয়, বিশ্বাসভঙ্গকারী-
পীযুষ পিপাসায় করে বন্ধুর অভিনয়।


রচনাকাল ৮ আগস্ট ২০২১ খ্রিস্টাব্দ,
২২ শ্রাবণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, রবিবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।