সুশিক্ষার আলো জ্বালো অন্তরে
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


যেদিন থেকে সমগ্র পুরুষের হৃদয় কোমল হবে,
এবং অন্তরে প্রেম-ক্ষমা-ধৈর্য-জ্ঞান ও মমতা ভাব
প্রকাশ পাবে,
এছাড়াও সমগ্র নারী যেদিন থেকে পরিপূর্ণ মাতৃত্ব
জ্ঞান অনুশীলন করবে,ত্যাগ ও ধর্মের প্রতীক হবে,
সকল অন্তরে প্রেমের কোমলতা সৃষ্টি করবে,
শিক্ষা-জ্ঞান ও বলিদানের শেষ সীমানায় পৌঁছে-ও
সমাজ কল্যাণের প্রেরণা যোগাবে সকল অন্তরে,
সেদিন মানব জাতী সুশিক্ষার শিখরে পৌঁছবে।


কারণ একমাত্র বোধ-জ্ঞান এবং মানসিকতার
পরিবর্তন দ্বারা ঘটে থাকে মানবের উন্নতি সাধন,
সমাজ-সংস্কার, এবং পরিবেশের ভারসাম্য বোঝায়।
তার জন্য হৃদয়ে করুণা, প্রেম,এবং সমর্পণের ভাবনা
থাকা আবশ্যক।
যার অন্তরে কোমলতা নেই, সে নিষ্ঠুর!
আর নিষ্ঠুর ব্যক্তি সমাজে সর্বদা ভয়ানক এবং অন্যায়
কার্য করে থাকে।


যে ব্যক্তি প্রেমকে সম্মান করে, সে নারী ও পুরুষ কে
সম্মান করতে পারে।
কিন্তু কেউ যদি এমনটা ভাবে যে, নারী কেবল ভোগের
পাত্রী-দাসী এবং পুরুষের অধিকারের বস্তু,
আর পুরুষ যোদ্ধা-বীর-শাসক-এবং নারীর প্রভু,
তবে কোনদিন পৃথিবীতে সে সুখ স্থাপন করতে পারে না,
এবং অপরকেও সুখ প্রদান করতেও অক্ষম।


কারণ তার দ্বারা যথেষ্ট হানি ঘটে সমাজের।
শাসন,শোষণ,ধর্ষণ,অত্যাচারে শিকার হয় অসংখ্য মানুষ।
সে-সমগ্র পৃথিবীকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রাখে,
প্রত্যেক অন্তরে দুঃখের বীজ রোপণ করে,
ভারাক্রান্ত মন কান্নায় ভেঙে পড়ে, দুর্বল হয়ে পড়ে
মানব সভ্যতা।
আর এরূপ মনে কেবল লোভ-লালসা এবং অপকর্ম
খারাপ চিন্তা বাসা বাঁধে।


তাই প্রত্যেক অন্তরে প্রেম প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কেবল শিক্ষা নয়, সুশিক্ষায় জীবন গড়তে হবে।
পরিবর্তন করতে হবে আচার-আচরণ,
বা অসুস্থ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে দিনের আলো দর্শন
করতে হবে।
মনে রাখতে হবে মানুষ যদি মানুষের কাছে পূজনীয় হয়,
তবে সে দেবতার সরূপ হয়ে সৃষ্টি এবং মানব সভ্যতার
বিকাশ ঘটাতে ভালো কার্য, এবং অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা
করা প্রত্যেকের কর্তব্য।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল, ১০ অক্টোবর ২০২০ সাল,
বাংলা- ২৪ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, শনিবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।