ত্যাগে'ই সুখ
     ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


সৃষ্টির গতিকে অবরোধ করে করছে মনুষ্য
তাদের নানাবিধ উৎসব।
অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে পরম্পরা
মেনে ধর্ম পালনে করা হয় অসামর্থ্য
অসংখ্য জীবের হত্যা।
কিন্তু কেন? সৃষ্টিকে ধ্বংস করে যদি সুখ
সন্তোষ প্রাপ্তি  করতে হয়,
তবে সে সুখের মাহাত্ম্য কোথায়?


যার আবেগ-অনুভূতি দুই আছে,
তাকে হত্যা করা অপরাধ।
এছাড়াও নিজ শারীরিক ক্ষুধা  দুর্বলতা এবং
মনের লালসা মেটাতে যদি মাংসাশী হয়ে
সৃষ্টি কে বিনাশ করতে হয়,
তবে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ কি?


সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে যদি অন্যকে হত্যা করে
বেঁচে থাকতে হয়,
তবে সৃষ্টির গতি সঞ্চালন করবে কে?
সৃষ্টিতে নিমজ্জিত থাকা মনুষ্যের কর্ম, ধর্ম, দায়িত্ব
ও কর্তব্য যদি হয়,
তবে আপন লালসায় যারা পথভ্রষ্ট হয়ে ছুটছে,
তারা সকলে অপরাধী এবং এদের জন্য দণ্ড
নির্ধারণ করা উচিত।


খাদ্যের গুণাগুণ বিচার না করে সমগ্র সৃষ্টিকে
যারা খাদ্যের তালিকাভুক্ত করে,
তাদের ক্ষুধা নয় লালসা প্রকাশ পায়।
আর লালসা যুক্ত অন্তরে না জন্ম হয় প্রেম,
আর না তো কাউকে করতে পারে সুখ প্রদান।
তাই আনন্দ, উৎসব, সুখ-সন্তোষ এবং মনের
লালসা বর্জন করতে হবে!
ভোগে নয়, ত্যাগে'ই প্রকৃত সুখ।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ১ মার্চ ২০২১ খ্রিস্টাব্দ,
বাংলা-১৬ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, সোমবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।