ভালোবেসে তোমায় লিখবো কবিতা
  ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


আমাকে প্রেম দাও অথবা ঘৃণা, ‘ভালোবেসে তোমায় লিখে
যাবো অজস্র প্রেমের কবিতা’।
যদি কোনদিন মনে পড়ে-খুঁজে নিও অনিদ্রিত নয়নে,
দহন-দগ্ধ বিরহে পথে পড়ে থাকা কবিতার বুকে পদ রেখে।
আমি ঠিকানা লিখে রেখেছি প্রভাতী ফুলের
পাপড়ির অবয়বে, অথবা তোমায় আঁকা রঙিন
গোধূলির দৃশ্য পটে।
বেলাশেষে যদি ওই ফুল-ও ঝরে যায়, গোধূলি রং হারায়,
তাহলে ভুলে যেও-  ফিরে যেও আপন ঠিকানায়।


আজ সর্ব ক্ষণে দিবস ও রজনী এই প্রাণে,
তোমারে সযত্নে বসিয়ে রেখেছি আমার আপন
প্রেমের পদ্মাসনে।
তাই তো ছুটে যাই সকাল-সন্ধ্যা,
তোমার দর্শন প্রাপ্তি'র আশায়।
তবু নিরাশায় ফিরি আসি শ্রাবণ মেঘে সজ্জিত,
বিজলী আলোকিত পথ ধরে।
যেখানে জলধারা খেলা করে আঁখির অভ্যন্তরে,
যেখানে না পাওয়া বেদনা অতৃপ্ততার সুর তোলে অন্তরে -
নীরব-নির্জনে,
সে পথেই হারিয়ে যাই ক্ষণে-ক্ষণে
ঝড় হাওয়ায় অপ্রকাশিত কবিতার পাতা ছড়িয়ে।


অবহেলিত পূজারী দলিত-দুর্ভিক্ষ জীবনে যে প্রেম-পূজায়
নিমগ্ন, তার সাধনা পূর্ণ কোনদিন কি হবে না?
তুমি বলতে পারো আর কত নত হলে কোমল স্পর্শ
অনুভব করতে পারে হৃদয়?
সাহসী পথচারী আমি হতে পারিনি সত্যি,
তবে নির্মল প্রেমের সাক্ষর রেখেছি আমার আত্মত্যাগে।
তাই  তো চোখে-চোখ রাখতে পারিনি,
মাথা উঁচু করে বলতে পারিনি ‘আমি তোমায় ভালোবাসি’।
সমর্পণে কম্পিত হয় বুক, ছুঁয়ে দেখা নয়-
পূজায় তোমাকে পাওয়ার বাসনা, তাই ভক্তি চেয়েছি।


অঞ্জলি-দান যদি হয় ঘৃণিত, তবে প্রেম কি হয় না লুপ্ত?
অন্তরের সুপ্ত প্রেম যদি তুমি না বোঝো,
তবে শম্ভু বুকে পদ রেখে লজ্জিত হয়ে ছিলে কেন?
আর কত নিজেকে অযোগ্য ভেবে তিলেতিলে করবো ক্ষয়?
আর কত প্রতীক্ষা করলে তুমি বলে উঠবে
প্রেম মিশ্রিত স্মৃতি কথা? আজও অপেক্ষায় আমি,
ফিরে দেখার ইচ্ছা হলে সঙ্গ দিও।
তবে অচেনা হয়ে নীরবে গন্ধ ছড়িয়ে, যেওনা তুমি
বেলা শেষে আমার পাশ ঘেঁষে।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল, ৩০ মে ২০২০ সাল,
বাংলা ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ শনিবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।