দেশদ্রোহী দমন
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


                হে-বিদেশীর দাস,স্বদেশী শত্রু,
           তোরা ঘুম ভাঙিয়ে অন্তরালে লুকিয়ে কেন?
                    আজ বাইরে বেরিয়ে দেখ,
           রণক্ষেত্রে-রণবীর প্রতীক্ষা করছে এখনো।
      কতদিন,আর কতদিন-তোদের ক্ষমা-প্রার্থনা শুনবে?
           এবার আমি যুদ্ধ চাই, তোদের মারতে চাই,
      নব দেশ ও সমাজ গড়তে বিধ্বংসিত বহ্নি জ্বলবে।


        যতসব অমঙ্গল কারী, দেশের সম্পদ হরণ কারী,
                          দেশদ্রোহী ওরা!
                 দেশের খেয়ে দেশেই ঘুমিয়ে
                    দেশকে করছে ক্ষতবিক্ষত,
         হচ্ছে জননী তাই অপমানিত,লাঞ্ছিত,পীড়িত-
               দুর্ভিক্ষকে করেছে ললাটের ধ্রুবতারা।
        আজ নেমেছি রাজপথে, দুমুঠো খাদ্যের দাবিতে
          অনেক সয়েছি অত্যাচার, এবার হবে লড়তে।


            ওরা আরো এনেছে বিদেশী কুকুরকে ডেকে,
          নারীর উলঙ্গ বুকের রক্ত-মাংসের ঘ্রাণ দেখিয়ে!
                    করে অর্থ পাচার, করে ধর্ষণ,
                       বাধিয়ে  দ্বন্দ্ব - করে খুন,
        প্রাণ নিয়ে লালসা মিটিয়ে অবশেষে যায় পালিয়ে।
                  তাই এবার বেরিয়েছি রক্তাক্ত পথে ,
             মৃত দেহের স্তূপ থেকে আসা জাগানো গন্ধে
                          জাগ্রত-জনতার সাথে ।


          ওরে এবার সম্মুখে আয় জ্ঞানহীন-শক্তিহীন  
                         লোভী-কুলাঙ্গারের দল,
                কত করবি ছল? যুদ্ধ কর অস্ত্রে-অস্ত্রে!
                     কর আমাদের আরো শাসন,
                            কর রক্ত শোষণ,
        আজ ইতিহাসের সাক্ষী হবো’ রক্তে-রাঙানো বস্ত্রে।
            তাই বেরিয়ে আয় বধূর অবগুণ্ঠন সরিয়ে,
                         মৃত্যুর প্রার্থনা নিয়ে!
       স্ব'দেশের সকল জনতা অধিক-আগ্রহে বসে আছে,
          তোদের এক পলক দেখে- পাঠাবে যমালয়ে।


        সামান্য তোদের মতো কিছু দেশদ্রোহীদের জন্য,
                অনেক খেসারত দিতে হয়েছে!
          যারা স্বাধীন অরুণের কিরণে ছুটে ছিল,
                 তারা তোদের হাতে মরেছে।
          কিন্তু, বুঝতে শিখেছে আজকের জনতা
                 বিশ্বাস করে না তোদের আর!
                    রাবণে শত্রু ছিল বিভীষণ
          শত্রুনিধনে এসেছি রণক্ষেত্রে করবো সংহার।



রচনাকাল ১১ জুলাই  ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা- ২৬ আষাঢ় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (বৃহস্পতিবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।