ঘুমোতে যাওয়ার সময় যখন জানালার পর্দা উড়িয়ে
জোসনা মাখা বসন্ত বাতাস
আমার বিছানার চাঁদর উড়ায়,
ঘরের সিলিং হয় আশ্চর্য এক আয়না
যেখানে তার পুরোনো দিনের হারানো ছবি ভেসে উঠে,
কিন্তু স্পর্শ করা যায় না।
হাত বাড়ালে নেই, ধরতে গেলে উধাও।
তখন একজনের প্রয়োজনীয়তা ভীষণভাবে অনুভব করি,
যার বুকে প্রেম থাকবে সুচিত্রা সেনের মতো।


মাঝরাতে কাশতে কাশতে বিছানা ছেড়ে ওঠার সময়
যখন তিন সেকেন্ডের জায়গায় তিন মিনিট সময় লাগে।
যখন শ্রাবণের ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পিচঢালা রাস্তায়,
ছোপ ছোপ পানি আর ভেজা ভেজা গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে পা ফেলে হেঁটে হেঁটে যাই;
পেছনে ফেলে আসা পায়ের ছাপ গুলো চিৎকার করে বলে-
আর একজোড়া ছাপ দিয়ে যাও
নতুবা সাথে করে নিয়ে যাও আমাদের।
তখন একজনের প্রয়োজনীয়তা ভীষণভাবে গ্রাস করে আমায়,
যার বুকে প্রেম থাকবে সুচিত্রা সেনের মতো।


যখন গোধূলি নামার আগেই নেমে আসে সন্ধ্যা
জীবনে মোর-
প্রাণটা কাউকে না দিয়েই দেহ ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায়
শুয়ে থাকি দিল্লির বেলিভিউ ক্লিনিকে,
তখন চাইতে ইচ্ছে হয়-
আজ কেউ একজন এই আমিহীন আমার পাশে মাঝরাত অবধি বসে থাকুক,
বাতাস ভর্তি ফুসফুস আমার হাতে তুলে দিয়ে বলুক-
শ্বাস নাও ! বাঁচো !!
                   (অসমাপ্ত)