আমি কবি নই, আমার কবিতায় নেই রবি
তবু লিখিতে শক্তি পাই, মন যা চায় লিখি সেই সবি।
আমার লেখায় নেই কোন উপমার মানচিত্র
লোকে যতই করুক দাহ পুরু হয় তত গাত্র।
ধার করা শব্দ লিখে কেউ বলে হয়েছে কবি
আমি বলি সঠিক তবে লেখায় ভনিতা নাই পাবি।
আমি কবি নই, কবিতার ভাবনায় নেই আমি
কলমের খোচায় তবু লিখি শব্ধ দু চারখানি।
হোক না কোন কবিতার পংক্তি ভাষায় না হউক অন্ত্যমিল
কেউ বলে এসব লিখে ভবিষ্যতে খাবি চটির ঢিল।
আমি তো কবি নই  তবুও খাবো কেনো লোকের কথার কিল
আমিতো লিখি অচেতনে ভাবনার প্রকাশে খুজি রংগনীল।
কেউ বলে তুই প্রকৌশলী
ইট,বালি,রড সিমেন্ট নিয়ে যার কারবারি
তুই কেমনে হবি কবি?
নেইতো মন তোর ,কেমনে হবি কবিতা প্রেমের পুজারি??
আমি বলি আমিতো লিখি, লেখা হউকনা কোন কবিতা
কেউ না বুঝুক , শুধু বুঝলেই হবে যার, সে হউক না কোন সবিতা।
আমি বলি পাথরে বেধেছি মন ,দাগ নেই মনে একটুও
লিখতে গিয়ে হৃদয় ভাংগে ,স্বপ্নে লিখি যা বুঝে নিও।
কেউ কি বলে বলুক? কবিতায় আমি সুখ খুজে পাই
ভাল লাগে পড়তে , রবীন্দ্র,নজরুলের লেখা যত বই।
বাস জার্নি বা অবসরে সময় কাটেনা যখন বাদল ও দিনে
উৎসাহ পাই দুলাইনের দুচরন কবিতা লিখতে বসে আনমনে।
না থাকুক  লেখায় কোন মান, যা হবে অম্লান
ভাবিনা কেউ পড়ুক বা না পড়ুক, না বাড়ুক সম্মান।
লিখতে গিয়ে খুজে পাই দুঃখ ,সুখ, পাওয়া, না পাওয়ার বঞ্চনার ইতিহাস
ভোর পাখির কলরবে মেঠোপথ পা ভিজিয়ে দেয় শিশির সিক্ত দুর্বা ঘাস।
লেখার খাতায় চোখ বুলিয়ে দেখি কালিতে ভরেছে মন
শুন্য রেখায় উদ্ভাসিত হই তখন,তাই নতুন কিছুতে করি পণ।
লিখতে গিয়ে প্রেমে পড়ি অজানা অচেনা পুর্বাকাশের রক্ত বর্ন উষাকে
শুভ্র জোৎস্নার চোখে তাকিয়ে,হারিয়ে ফেলি প্রিয়ংবদাকে বলা ভাষাকে।
আমি কবি নই, লিখি বিলের জলে সদা হাস্য নীলপদ্মিনীকে ছুবো বলে
কবি নই তাই ভাসাই তরী ঢেউয়ে ঢেউয়ে তিক্ত স্বাদের সীমাহীন নীলজলে
। লিখছি,,,,