অবেলায় গল্পের মাঝখানে কে এসে দাড়ায়
অদেখা সেযেনো চিরচেনা, ভাবনা বাড়ায়
কিযেনো বলতে চেয়ে আড়ালে ঢাকে মুখ
ছলছলে দেখা মেলে তার ডাগড় দুটি চোখ
ভ্রুকুচকে ভাবতে থাকি চিনতে পেরেছে কিনা
আবার ভাবি না চিনলে তবে খুজে কি বিনা
অবাক হয়ে ঝেড়ে ফেলে অশ্রুচোখের পলক
পিছন ফিরে  দেখি ক্রন্দন রুপের ঝলক
কন্ঠ তখন রুদ্ধ হয়ে  করে নিশব্ধ ফিসফিস
সবাক হয়ে চেতনফিরে স্বল্পসুরে করি জিজ্ঞেস
কে তুমি তাকিয়ে রয়েছো,আমায় বিদ্ধ করে
নিশ্বাসে উষ্ণবাতাসে ভরে জোরেসোরে
বিষন্ন বিকেলে যখন পেলাম তোমার দেখা
রংগীন আকাশে তখন উড়ছে পাখি মেলে পাখা
তোমার ঝটপট দেয়া সাড়া আমায় করেছে ধন্য
তোমায় খুজে পেতে হয়েছি আমি হন্য
তোমার অপেক্ষায় থাকা মুহুর্তে ছিলাম তৃষ্ণায় ভরা
তোমার হাতছানি দেয়ার স্মৃতি ভুলায় দীর্ঘ প্রেম খরা
পড়ন্ত বিকেলে স্তব্ধ নদী জল,আকাশে মেতেছে রংয়ের মেলা
আমি তখন তোমায় দেখে ভাবি বিধাতার একোন খেলা
পশ্চিম গগনে সুর্য ডোবার হাতছানি করেছে আমায় অশান্ত
আবছা আলোয় তোমার মুখোছবি দেখে বিবেক দংশনে হয়েছি ভ্রান্ত
তোমার ফোলা ডাগর চোখের ইশারায় বুঝতে করিনি দেরি
সকল বাধা ছিন্ন করেছি ,পার করেছি প্রেমের ফেরী
তোমার লুকানো প্রেম কোথায় রেখেছিলে ঢেকে
যেপ্রেমে দেওয়ানা হয়ে স্মৃতির চিণহ দিলে একে
ছিলাম স্বপ্নঘোরে তোমার দুরন্তপনার অবসরে
কল্পোকাননে খুজে পাই প্রেম চির অমলিন সবার তরে
তোমার বুক চিড়ে বেরিয়ে আসা কান্নায় হৃদয় ভাংগে আরেকবার
চৌচির হয়ে হৃদয়ে গহীনে দেখি অশান্ত ভাবনা পুড়ে হয় ক্ষার।