তৃষ্ণার্ত দাড়কাকে ছোবল মেরেছে গায়
চিৎকার করে কেদে উঠি প্রান বুঝি যায়
যে প্রানে বেধেছিলাম বাসা,কুড়ে ঘরখানি
উষ্ণ অনলে ভাংগে সে ঘর শক্ত হাতে টানি
ছিড়ে যেতে যেতে থমকে দাড়িয়ে কথা কয়
বিষাদের ছায়ায় নীলিমা ছড়িয়ে করতে চায় জয়
বিবর্ণ মলিন চোখে স্বপ্ন হাসে ফোটা ফোটা জলে
শব্দগুলো খোড়া পায়ে হাটে আর অস্ফুট কথা বলে
অর্থহীন সেকথা বিদ্ধ হয় হৃদয় মনি কোঠায়
রক্তক্ষরণ হয়ে স্রোতস্বিনীর বেগে বাজে মন মহুয়ায়
ফিনকি দিয়ে উঠে মনপবনে বাধা নেশাতুর সুখ
পুড়ে যায় অনলের শিখায় জগতবিবাগি দুখ
প্রলয় লীলা খেলে যায় দেহকোষে করে নড়চড়
আসমান জমিন উষ্ণতায় ভরে হয় জড়োসড়।