কবিতার সেঞ্চুরী
——১০০ —-


একলা অবসরে একান্ত অনুষংগ লেখা আমার কবিতা
এছাড়া সবকিছু মনে হয় নিষংগ জটিলতা
সেই কবে হতে লিখি নিজের স্বপ্ন বুননের গল্প
গুটি পায়ে এগিয়ে গেছে লেখার সংখ্যা অতিঅল্প
কল্পনায় একেছি মেঠোপথ, সোনালী ফসলের মাঠ
হেটেছি লেখায় অপরুপ বাংলার শাপলায় ভরা পুকুরের ঘাট
ভালবাসা প্রেম বিরহে ভেংগেছি লেখায় মন
থাকতে পাশে একান্ত আপন চিরসংগীকে করেছি পন
গাইছি গান বৃষ্টির দিনে লিখেছি মেঘ রৌদ্দুর
আকাশ দেখেছি পুর্নিমার আলোয় দেখা মেলে যতদুর
ভোর শিশিরে পা ভিজিয়েছি প্রাতরাশ এর পর
উষার আলোয় ঘুম ভেংগেছে ব্যস্ততায় ছেড়েছি ঘর
ক্লান্ত দুপুরে শ্রান্ত হয়ে লিখেছি বিজয়ের গান উষন রৌদ্রে বটের তলায় বসে শুনেছি পাখির কলতান
পড়ন্ত বিকেলে চায়ের কাপে তুলেছি জীবনের ঝড়
ঘুটঘূটে সন্ধ্যায় আলো আবছায় মুখ দেখি জোনাকীর
রাত্রীর অভিযাত্রী সেজে হয়েছি পার সাত সমুদ্র তের নদীর জল
ভরা বর্ষায় দুচোখে ঝড়েছে তিক্ত স্বাদের পানি টলমল
ইশান কোনের মেঘের আড়ালে বেধেছি সুখের ঘর
মেঘকন্যার সাথে আড়ি কথা নেই কানাকড়ি হয়েছি স্বার্থপর
শালুক ঝিলে সাদা বলাকার মত খুজেছি কত নীলপদ্ম
বহু আগে লিখেছিলাম কবিতার ছলে দুপাতার এক গদ্য
আজ তাই একেবেকে স্বপ্ন দেখি একটি শতকের অপেক্ষা
কবিতার সংখ্যার সেঞ্চুরি পুর্ন করতে মনে তীব্র আকাংখা।
ক্ষুদ্র লেখায় সাজিয়েছি ডালি প্রকৃতির অপরুপ সাজে
ভুলে ভরা শব্দের মিশ্রনে একেছি প্রেম প্রতিটি লাইনের ভাজে
চেস্টা নয় লিখেছি আকুলিবিকুলি মামুলি কিছু কথা
নিরর্থক ভাবে সার্থ খুজেছি ইতিবৃত্ত দুর্বার জীবনগাথা
হইনিকো নিরাশ আশায় বেধেছি এদেহ লিখার প্রয়াসে
দুর্বল হাতে লিখে ঝড় ঝঞ্জা যতই আসুক যাবো বারো মাসে
নিন্দুকেরে পাইনা ভয় লেখা কবিতার জয়
সমালোচনায় পদ্মলোচন ক্ষয় নেই লেখার ক্ষয়।