সদৈব মিথ্যায় হোচট খেতে গিয়ে ঘুড়ে দাড়াই
আপন মনে ভাবনায় ডুবে  কুলে ফিরে যাই
যতবার
ভাবি


আকারণে হন্য হয়ে দরদ খুজে
বড্ড বেশি ভুল করে ফেলেছো
অজানায় শুন্য করেছো আমায়
অপমানের শিকলে করেছো বন্দী
আসার পথে কুটিল কাটা সরিয়ে
বড্ড বেশি অভিনয় করে দেখিয়েছো
অসাড় অবসরে খানিক চিন্তায়
কপালের ভাজে ফুটিয়েছো নির্বাক চোখ
বিষন্ন মননে কাননে বসে মৃদু স্বরে
গানের কলিতে যে ঠোট নারিয়েছো
সেখানে ছিল অনল যন্তনা,অসহনীয়
কিছু ভাবলেশহীন যাত্রার গল্প
গল্পের শেষ্ টা নিয়ে বিকল্প গদ্য লেখা যাবেনা
তবে তাতে ছিল বেদনা বিধুর স্মৃতি
শতাব্দি অব্দি রেখাপাত হবে দৃস্টি
যতদিন আছে মনের মনিকোঠায় বন্ধি
কতকাল মহাকাল ছুটি নেই তবে তোমার
ভুলেও মনে করোনা বারবার আরেকবার
আছে লেখায় ভাষা কাগজের পাতায়
ছিন্নকেশে অবেলায় দখিনা হাওয়ায়
উড়িয়ে দিয়েছো নিয়তি কে
বেলকনির আরাম কেদারায়
বিস্তৃত সবুজ দিগন্তে ভরা জলে মেতেছো
ঢেউয়ে ভাসা পানকৌড়ীর ডুব খেলায়
নিজেকে সাজিয়ে পদ্মপাতায়, মাথা নাড়িয়ে
ডেকেছো আমায় অবহেলায়
ডাকের অপেক্ষায় বসন্তে বাতাসে
ঝরা পাতা গুলো ছুটে বেড়ানোর আনন্দে পালায়
তবুও আমার মাঝে  হন্য হয়ে খুজে দেখোনি
দুঃস্বপ্নের রাতেও ঘুমিয়েছো  প্রেমনিদ্রায়
আমার জন্য মায়াজাল ছড়িয়ে কুন্ঠিত কর্মে
পাজরে বন্দী করবার অপচেস্টাও ছিলোনা
অকারন হবে ভেবে কাননে ফুটাওনি ফুল
যেন পড়াতে না পারি গলায় গাথা মালা
দৈন্যতায় ছিন্ন করে ভিন্নতায় চড়াই উৎরাই
আপনে ঠাই দিয়ে ধংসিত বিশ জ্বালায়।
ভ্রুকাজলে কালোর রেষে কালিমা একেছো
ঘুমোট অন্ধকারে নীলিমার আশায়
কপোল ভেজে বোবা অবিনাশি কান্নায়
তবুও একফোটা জলে হয়নি মহাপ্রলয়।
আখি দুটো জলে ছলছল নিভৃত নিরাকার
আষাঢ়ে মেঘের সাথে হলো সবে পরিচয়।
নিদারুন মিনতি চোখে কেবা তব আমি
জানলেনা তবে তুমি জানে অন্তরায় ।
সতেজ বাশবাগানের ফাকে ঝিকিমিকি সুর্যের হাসি
প্রার্থনায় চাদ অপলোকে বিস্ময়ে তাকায়
পৃথিবি ঘুমায় তবু ,,,,,