অগোছালো চুলে মাথা নুয়ে চলা সেইদিন
ফিরে আর আসবেনা বিকেল ক্লান্তহীন
পরবেনা পাদটীকা ঘন বনবাদর ঝারে
খুজবেনা অমুল্য রতন যতনে মন কাড়ে।
সেখানে স্বপ্নবৎ রবে নিভৃতে দেহের ওপাড়ে
ফেলে আসা স্মৃতিচিহ্ন নড়ে বেদনার গাঢ় ঝড়ে
লেখার খাতায় আর প্রস্ফুটিত হয়না শুকনো ফুল
খরস্রোতা জলের আঘাতে ভাংগে তিক্ত দু"কুল।
নিথর পথিক হাটবেনা গোপনে পথের ডাকে
ক্লান্ত সেপথ চাদর মুড়িয়ে কয়না কথা শুন্য বাকে
জানে,এই পথ সচ্ছ জলের মত নয় গো নিস্প্রান
যার সুভাসে মধু হাসে নিশ্বাসে লাগে স্নিগ্ধ ঘ্রান।
কত কাব্য কথনে ধুলিময় ভবিষ্যতের লিখি পান্ডুলিপি
আসেনা আর উদোরের ব্যাথায় গদ্যের স্বরলিপি
চয়নে দুর্ভেদ্য কল্পোনার এক অমোঘ শ্রতিস্বর
খেলে যায় ঢেউয়ের তালে শ্রীহীন মনোঘর।
তৃষ্ণার উষ্ণতায় চিত্তে বিনোদ পুলকিত দুচোখ
ক্ষুধার রাজ্য বিগলিত অন্ন হয়নিকো ভোগ
জমিয়ে জমিয়ে বুভুক্ষের মত হন্যতায় দেহের ক্ষয়
প্রলাপে দুরছাই প্রশ্নবানে তিক্তবিরক্ত কেহ কয়।
আধার মুড়িয়ে চাদের আলো পুর্বগগনে রাশিরাশি
প্রাতঃধবনিতে স্বপ্নমাখা সুর বাজায় বিষের বাশি
সুরতানে হাসে ঘুমজাগা পাখির চোখের পাতা
তবুও হয়না দেখা ছুয়ে দেয়া কাব্যের শুন্য খাতা।
অসার সাধনে জ্যন্ত পুড়ে দেয়া নিস্প্রভ কিছু সুখ
বয়ে যায় অথৈ সাগড়ে নির্ভেজাল বিদির্ন লাল দুখ
জীর্ণ কুটিরে সুখের পায়রার নিভুনিভু উড়াউড়ি
নাগালের বাইরে দাড়িয়ে ওড়াই লাটাই ঘুড়ি।
কলমি লতার ফাকে চিকচিক ধুলিকনার গায়ে
লেখা কবিতার কিয়দখানি,লেগে থাকে পায়ে পায়ে
যতদুর পথে পদযুগল চলে একপেষে ঘেষে ঘেষে
আনন্দ ছুয়ে যেতে যেতে পিছু নির্ঘাত যাবে ফেসে
হঠাৎ কাধের উপড় নিশ্বাসে হতচকিয়ে ভুতের ছায়া
এযেন সত্যের কাছাকাছি যা বলা মিছেমিছি গল্পের মায়া
নেই এবেলায় প্রকৃত প্রকৃতির চাওয়ার শত আবদার
আছে যতনে রতনে তৈরি ঘরখানি পুড়ে ছাড়খার।
নিয়মের বেড়াজালে অদেখা বহুক্রোশ রয়েছে বাকী
হেটে যেতে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসে সবৈত ফাকি।
ফিকে আশায় বেকে বসে সাধনার নীল জল
নেত্র যুগলে বিশ্ব খোজে পলকের পানি টলমল।