যে বীজটি আমি সযত্নে পুতেছি রসালো মাটির ভেতর
তার শরীরে আজ কীট করেছে বাসা।
এমনও দিনে বলো দোষ দেব কাকে
সময় মতো বীজটি বৃক্ষ হতে পারেনি বলে
মাটিকে কী দোষ দেব,
না বুকের বাম পাশে লুকোনো সূর্যটাকে বলবো তেজ হীন।


আমি তো একটা শতাব্দী ধরে-
রাস্তার একপাশে গাছের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছি,
যেভাবে পাহাড় দাঁড়িয়ে থাকে।
তারপর হঠাৎ বসন্ত এলো-
একটা পাখি উড়ে এসে বসলো আমার ডালের ওপর।
তখন আমার শরীরের ভেতর থেকে
কিছু কচি পাতা বেড়িয়ে দেখলো আকাশ
আর কিছু ফুল দেখলো স্বপ্ন।
তবুও কেন জানি না, পাখিটি এ ডাল ও ডাল ঘুরে
বুঝলো অরণ্য বিষাদ।