হয়তো সেদিন ক্ষুদার জন্ম হয়েছিল-
যেদিন একাকি ঈশ্বর বহু হওয়ার সাধে
মেতেছিলেন সৃষ্টি সুখে।
যেদিন জেগে উঠেছিল শত সহস্র গ্রহ তারা,
নগ্নশিশু প্রথম যেদিন কেঁদেছিল পৃথিবী বুকে।
হয়তো সেদিন ক্ষুধার জন্ম হয়েছিল-
যেদিন চোখ মেলেছিল কিশোর
প্রথম ডাকা পাখিটির শিস শুনে।
নগ্ন পায়ে যেদিন চলে গিয়েছিল
খেলার আয়োজনে।
যেদিন প্রথম মানুষ আয়না দেখে
বুঝেছিল সে নারী
যেদিন প্রথম পুরুষ তারে
বেধেছিল প্রেমের বাধনে।
হয়তো সেদিন ক্ষুধার জন্ম হয়েছিল
যেদিন প্রেমাসক্ত চোখাচোখিতে ষোড়শী
নদীর ঘাটে কলসি আর কদম ডালে মন
ফেলে গিয়েছিল।
প্রথম যেদিন কুসুম বনে মরার ককিল
কুহু সুরে ডেকেছিল।
যেদিন কারো সহানুভূতির ভালোবাসা ত্যাগ করে
বিধবাবধু নয়নে জল আর বুকের জ্বালা নিয়ে
দড়জা দিয়েছিল।
হয়তো ক্ষুধার সেদিন জন্ম হয়েছিল
যেদিন দুর্ভিক্ষের বুভুক্ষু রক্তের বিনিময়ে
চেয়েছিল দুমুঠো অন্ন।
যেদিন কবি কবিতা থামিয়ে বলেছিল
চকচকে চাদ যেন ঝলসানো রুটি
যেদিন কোন অন্ধ আদিম রক্ত পিপাসু মানুষ
ক্ষুধার তাড়নে হয়েছিল বন্য।