রাতের গভীরতা আজ বুনো হয়ে উঠেছে,
তোমার শরীরের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে
অস্থির এক জোয়ার,
আমার আঙুলেরা ঘুরে বেড়ায়
তোমার তপ্ত ত্বকের মানচিত্রে,
নকশা আঁকে উন্মাদনার,
যেখানে ভালোবাসা আর পাপ একসূত্রে গাঁথা।
তুমি শ্বাস নাও দ্রুত,
তোমার চোখের গভীরে জ্বলে ওঠে
বিধ্বংসী কামনার দাবানল,
আমার ঠোঁট তোমার ঠোঁটে হারিয়ে গেলে
এই রাতের ভাষা হয়ে যায় শব্দহীন।
তোমার উরুর কাঁপুনি বলে দেয়
আমরা সভ্যতার শৃঙ্খল ভেঙে
নেমে এসেছি এক আদিম বনে,
যেখানে শরীরই ধর্ম,
স্পর্শই উপাসনা,
আর উন্মাদনাই মুক্তি!
তোমার চুলের সুবাসে মাতাল হয়ে
আমি আঁকড়ে ধরি তোমার নগ্ন কোমর,
তুমি ছটফট করো,
তবু তোমার নখের আঁচড়ে
আমার পিঠে জমে ওঠে চাঁদের অন্ধকার।
তোমার নরম ত্বকে নেমে আসে
আমার ঠোঁটের উন্মাদ রাক্ষুসে ছোঁয়া,
তোমার ঘাড়ে,
তোমার বুকে,
তোমার নাভির গহ্বরে,
আমি খোদাই করে দিই দহন,
যে আগুন তোমাকেও পোড়ায়,
আমাকেও!
এই মুহূর্তে সমাজ নেই,
নীতি নেই,
শুধু তুমি আর আমি দুই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে
লুটিয়ে পড়েছি ভালোবাসা আর নরকের মাঝখানে,
যেখানে আমরা হারিয়ে যাচ্ছি,
আবেগ আর পাপের সীমান্তরেখা মুছে যাচ্ছে,
আর আমাদের দেহের ভাষায় লেখা হচ্ছে
এক উন্মাদ কবিতা—
যে কবিতার নাম "অগ্নিকামনা"!