ছোট্ট মনির মনের আকাঙ্ক্ষা- দিদার কাছে
জানতে চাই সে, একুশে ফেব্রুয়ারি কি জন্য
পালিত হচ্ছে ?


দিদা বলেন যে; তোমার মুখের কথা কেড়ে
নিতে চেয়েছিল বাকশত্রু!
ওরা চেয়েছিল ওদের ভাষাকে আমাদের
রাষ্ট্রভাষা করে নিতে।
সম্ভব হয়নি একশ চুয়াল্লিশ ধারা দিয়েও!
অনৈতিক ভাঙার খেলায় পরাজিত তারা।


মুহূর্তে দিদার ভাবনার অন্তর্দৃষ্টি- সেদিনের ঐ
রৌদ্রজ্জ্বল একশ চুয়াল্লিশ ধারা ভঙ্গ করে,
কীভাবে ছাত্ররা মিছিল বের করেছিল ঐ দৃশ্যে !
কীভাবে পুলিশ মিছিলে গুলি চালিয়েছিল...
বিসর্জনের সেই রক্তবৃষ্টির দৃশ্যে!


দিদা,দিদা,দিদা কী ভাবছো তুমি!
কথা বলছো না কেন?
অশ্রুসিক্ত নয়নে- না কিছুনা তো...


আজ তুমি যে ভাষায় বর্ণমালা পড়ো- অ আ ক খ,
যে ভাষায় কথা বল, মা ও বাবা বলে ডাকো,
যে ভাষায় জাতীয় সংগীত গাও...
সে মাতৃভাষা ফিরে পেতে না;
কথা বলতে হতো অন্য ভাষায়!
যদি সেদিন বাংলার ছেলেরা প্রতিবাদী না হতো!


আমরা তাঁদের রক্তের ঋণ যে-
কোনোদিন ও শোধ করতে পারবো না!


জানো দিদাভাই- এভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি
শহীদের স্মরণেই প্রতিবছর পালিত
হয়ে আসছিলো।


তাং - ২৩/০২/১৮