ভালো মন্দ বুঝে চলে মালিকের এক কেরানী,
বিশ বছর তাই চাকরী করে নিজের মনের তরণী।


অফিস হতে বাড়ি সামলে রাজি সব কাজেতে,
তাইতো মালিক আদর করেন প্রাণের চেয়ে প্রিয়তে।


সুখেদুঃখে যে মানুষটি থাকে ধরে হালটিতে,
থাকে ছাড়া কেমন করে মালিক চলে প্রাণটিতে।


অনেক আদর করে মালিক বিশ্বস্ততার কারনে,
হঠাৎ তারি অসুখ হলো মালিক পড়েন চিন্তনে।


ডাক্তার বলল বাঁঁচবেনা সে কিডনি রোগের কারনে,
মালিক তাই অধিক যত্নে লেগে পরেন মননে।


অনেক টাকা খরচ করে ভালো করেন অসুখটি,
মালিক তাকে বলেন এবার বসে থাক তুই এমনিটি।


কাজ করা তোর লাগবেনা যে দেখবি শুধু ছেলেটি,                                                                                     তোর হাতে মোর মানুষ হবে একমাত্র সে পুত্রটি।


আজকে হঠাৎ খবর এলো লোকটি নেই আর জগতে,
মৃত্যু থাকে ডেকে নিল রাখবে এবার নিভৃতে।


হুংকার করে কেঁদে উঠলো শুনে তারি মালিকে,
আশেপাশে কে আর দেখবে সুখেদুঃখে সবিকে।


মানবতার উর্ধ্বে উঠে মালিক যেমন করেছে,
কেরানিও প্রতিদানে অন্তর কেড়ে নিয়েছে।


স্বার্থক হোক মানবতায় ধরনীতে অবিচল,
মানবজীবন ধন্য হোক কর্মগুণে নিত্যকাল।


তাং- ০৯/১১/১৭