দেবকীর বিয়ে হলো বসুদেব সনে
বর কনে রথে চড়ে চলে বাসস্থানে।
রথের সারথি ছিলো কংস মথুরার,
অত্যাচারী রাজা বলে ছিলো নাম তার।


দৈববানী বেজে উঠে কংসেরই কানে,
দেবকীর গর্ভজাত বধিবে এখানে ।
গর্ভের অষ্টম পুত্র হবে যেইজন,
শ্রীকৃষ্ণ করিবে তবে কংসকে নিধন।


দৈববানী শুনে কংস খড়্গ হাতে নিয়ে,
দেবকীর প্রাণনাশ করিবেই গিয়ে।
বসুদেব সবিনয়ে কংসকে বোঝান,
ভূমিষ্ঠ সন্তান যত তার হাতে দান।


একথা শুনেই কংস শান্ত হয়ে গেলো,
বসুদেব-দেবকীকে কারাগারে নিলো।
একে একে জন্ম নিলো সন্তান যখন,
প্রতিশ্রুতিমতো দেয় কংসকে তখন।


ভাদ্রের অষ্টমী তিথি দুর্যোগে রজনী,
প্রবল বৃষ্টিতে যেন সেজেছে ধরণী।
ভগবান অবতীর্ণ হবেন ধরায়,
বিচলিত কংস তার কড়া পাহারায়।


অষ্টম গর্ভের পুত্র আবির্ভূত হন,
শ্রীকৃষ্ণকে রেখে আসে যশোদানন্দন।
যশোদার কন্যা আনে দেবকীর কাছে,
দৈববানীর আজ্ঞাতে বসুদেব বাঁচে।


সকালে খবর গেল কারাগার থেকে,
মেয়েটি ছিনিয়ে আনে দেবকীকে ঠেকে।
পাথরে আঁছাড় দিয়ে মেরে ফেলে যেই,
যোগমায়া মূর্তিরূপে শূন্যে উঠে সেই।


মহাশূন্যে মিলে যায় যোগমায়া মূর্তি,
তোমাকে বধিবে কৃষ্ণ গোকুলের কীর্তি।
দুষ্টের দমন করে শ্রীকৃষ্ণ ধরায়,
অবশেষে পৃথিবীতে শান্তি রক্ষা পায়।


তাং - ০২/০৯/১৮