রাত বারোটার সময় কাউকে না জানিয়ে
আঙ্গালীবাড়ি জল্পেশ দিয়ে ঘুরপথে ময়নাগুড়ি
যাওয়ার সময় কিছু আড্ডা বাজ ছেলের দল
চোর মনে করে আটকে দিল রাস্তা
শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলাম বাবার হাতে
থিম্পু আর যাওয়া হল না


রাত প্রায় দুটো আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে
তাই রাতেও বেশি ঘুমাতে পারি নি
পরদিন সকালেও তাড়াতাড়ি উঠেছি
সকালে উঠেই দাদার বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি


অমলের সাথে যাওয়ার কথা ছিল জলপাইগুড়ি
কম্পিউটারের সফ্টওয়্যার নিয়ে আসার জন্য
যাওয়ার সময় গোশালা মোড়ের আগে
ধাবাতে খাওয়ায় জন্য ঢুকেছি
আমি খাই তন্দুর রুটি তরকা হোয়াইট মিসচিপ
অমল খায় নান আর বিয়ার


খাওয়া দাওয়া সেরে ভাবি দুজনে
বোদাগঞ্জ ফরেস্ট যাব ঘুরতে
বাইক আমিই চালাই
অমল বসে পেছনে চেপে


বাইক চলছে সমবেগে
দুপাশের গাছ সরে যাচ্ছে সারিসারি
হুঁ হুঁ বাতাস কেটে আমরা ভেসে চলেছি
অমলও কিছু বলছে না
আমিও কিছু বলছি না
রংধামালি পেরিয়ে গেলাম
অমল আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে
বাইক চলছে গাছপালা আকাশ দেখতে দেখতে
আমি কখন ঘুমিয়ে গেছি
সামনে বাঁক ছিল কিন্তু আমি ঘুমিয়ে গেছি


ঘুম ভাঙ্গলো রাত আটটায়
চোখ মেলে সিলিং ফ্যান বড় বীম দেখে
বুঝতে পারলাম আমি হাসপাতালে
উঠতে যাব কিন্তু আমার শরীর কিছুতেই উঠছে না
এমনকি পাশ ফিরতেও পারছি না
আমার ডান হাত ভেঙে গেছে ডান কাঁধ ভেঙে গেছে
ডানদিকে দুটি বুকের পাঁজর ভেঙ্গে গেছে


বুঝতে পারলাম আমি এক্সিডেন্ট করেছি
মারাত্মক এক্সিডেন্ট ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙে দিয়েছি
ডাক্তার আমাকে মৃত ঘোষণা করে দিয়েছিল
কিন্তু মা নাকি আমাকে একটু শেষ জল খাইয়েছিল
তাতেই আমি আবার বেঁচে ফিরেছি
        _________