হঠাত কোন একদিন, ব্যস্ত লজ্জার শরীরে  
বিদ্রোহী চুনকালি ঘষে নেমে যাব ঐ রাস্তায়।  
সবাই যখন হুড়োহুড়ি দৌড় ঝাপ পালাই পালাই
আশ্রয় খুঁজতে ব্যস্ত, রাস্তা ঘাট একদম ফাঁকা
প্রভুহীন কুকুরটিও আর নেই, তখন আমি......
দামী সুট টাইয়ে পুরাদস্তুর সাহেব-  
সবাই দেখবে বিস্ময়ে হতবাক চোখে, কানা কানি ফিসফাস চলুক,  
আমি ভিজব ইচ্ছামত অসীম নীলের বিদাহী অশ্রুপাতে।
শূন্যে প্রসারিত দুহাত, আকাশ মুখী বন্ধ চোখ, ছোঁয়ে আসব
বিক্ষুব্ধ মেঘের কালো কালো  দুঃখের পেলব ঝাঁপি।  


অথবা হয়ত কোন এক বর্ষা বিকেলে  
চলে যাব কোন অজ পাড়াগাঁয়,  
যেখানে রাস্তার মাটির সাথে কৃষকের উদাম পায়ের কথা চলে অবাধে,
অনভ্যস্ত খালি পায়ে হাঁটব আপন মনে এক আকাশ ঘন বৃষ্টি মাথায়,
শুনে আসব সবুজের সাথে অঝর ধারার গোপন প্রেমালাপ-  
পিচ্ছিল কাদা মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়ব বার বার-
ঝুঁকে শুঁকে নেব ঘুমিয়ে পড়া বৃষ্টিস্নাত লজ্জাবতীর লজ্জা,
পাগল বলে বলে হাসুক যত ইচ্ছা কাঁদামাখা নেংটো বাচ্চার দল।
হয়ত কোন একদিন ঝুমুর পায়ের রমণীয় বর্ষা বিকেলে............