মাঝেমাঝে মনে হয় ঝরনাতলার নিচে মন সুপ্তিতে মগ্ন, তরল নরম জল তাঁর নুড়িপাথর গুলো চকচক করে, শেওলা- শেওলা ভেজা চারিদিক, কুয়াশায় টুপটাপ ঝরে পড়ে অনেক উপর থেকে, অনেক ফার্ণ আর মস এ ঘেরা একটা নিঝুম এলাকা..অথবা একটা ধাপে ধাপে উঠে যাওয়া সরু পাহাড়ের সিঁড়ি ,পাশ দিয়ে পাইন, সিডারগুলো নীল ছায়া ফেলে দাঁড়িয়ে, হটাৎ আসা ইলশেগুড়িতে ভিজে যায় পথ- ঘাট,  প্রিয়তম আজ আমার কিছু দেয়ার নেই, ফিরিয়ে আনার কিছু নেই - শেষ ট্রেনএ ফিরে যাওয়া নেই, ট্রাম- লাইন দিয়ে হাঁটা নেই, এই ঝর্ণাতলায় আমার তোমার মেয়াদোত্রীর্ণ অভিমান পড়ে থাকে..
মুছে দাও সব আয়োজন, নিভিয়ে দাও সব আলো, স্থাণু হয়ে থাকা সময়ে থামিয়ে দাও গ্রহ- নক্ষএাদি, দীপ্তিহীন করো সব অবয়ব, ঘরের এক কোণে পড়ে থাকা অস্থিরতাও দাও বিসর্জন । এ মায়ার উজান বেয়ে আমি একদিন ঠিক পারি দেব তারাদের মাজারে,সান্ধ্য বীথিকায় যেখানে ভেসে থাকে ব্যথার আবেশ ঘন..যেখানে শতাব্দী থেমে যায়, আঘাতে আঘাতে নীল হয়ে আসে নতজানু প্রেম। শাশ্বত মাধুরীর খোঁজ, আরো অতলে তলিয়ে যেতে চিত্রিত করো কবিতাকে ।
পরলোকের ছায়া- বন্দর থেকে নিয়ন পথ বেয়ে আমি দুঃখ গোলক পেরিয়ে আসবো তোমার দিকে, প্রিয়তম তুমি সম্মতি দিও, তুমি আমাকে অতল- তল ঘুম দিও ॥
©সায়নী