অন্ন বস্ত্র বাসস্থান আরো আপন সম্বল
তাদের পরিচয় এখন  ঠিকানা বিহীন
দখিনের ঐ নদী গর্ভে হয়েছে বিলীন।


তাদের মুখ আর চেহারা ছাড়া
নদী বাঁধের উপর নেই কোন চিহ্ন
তাদের  যে কী ছিল  বলতেও বিঘ্ন।


শুধু রয়ে  গেল পরিচয় হীনতার ইতিহাস
রাক্ষ্মসী নদীর  পাশে আকাশের  নীচে
বাঁধ ভাঙা অশ্রু ছাড়া নেই কিছু  পিছে।


দাঁড়িয়ে  আছে  দুটি  পায়ে শরীর  সাক্ষী
ধরিত্রীর বুকে তাদের  নেই কোন পরিচয়
নদী গর্ভে হারানো সব জীবনের  বিষ্ময়।


কদিন আাগেও কী  ছিল নদী দেবে উত্তর
হাতে  ঘরের  চাবি - ঘর বাড়ি জলে জলময়
জ্যোৎস্না হাসে নদীর জলে ঢ়েউ কথা কয়।


ফিরে  তারা হাত পা ঝাড়া সরকারি  আস্তানায়
অচেনার ভিড়ে তারা  পরিচয় হীন জনতা
নদী ছাড়া  কে বুঝবে তাদের  ব্যকুলতা !


তারা এসেছে জগতে শুধু ঠিকানা হারাতে
দুর্যোগে সব হারনোর ঘটনা নাড়ীর টান
অভিশাপের সাথে আসবে বুলবুল আমফান।


তিন পুরুষের বাস নদীর এপাশ ওপাশ
আজ এ জেলায় কখনো গ্রামের ধার
সস্তার বাড়ী হবে সেই কোন নদীর পাড় ।


দশক কেটে গেল যুদ্ধ শুধু প্রকৃতির সাথে
দেশ দিয়েছে বাড়িয়ে অন্ন বস্ত্রের ভাবনা
সঙ্গে নিয়তি-মাখা চির অচেনা ঠিকানা ।