হাত ঘড়িটা প্রায় মৃত
টেবিলের উপরে দীর্ঘ পাঁচ মাস।
করোণা লকডাউনে বাইরের জগৎ
এখন তার  অচেনা ,
হাতে পরার বা সময় দেখার প্রয়োজন নেই
তাই বাইরের আলো বাতাস  কোলাহল
মৃত্যুর  মতো শান্ত।
টেবিলের উপরই তার  জীবন ও মৃত্যু শয্যা
সেকেন্ডের কাঁটায় চলছে জীবন,
থামার কোন গল্প নেই দিনের  পর দিন
আমি  বুঝতে  পারি তার  কান্নার ভাষা
করোণায় বিধ্বস্ত আমার হাতঘড়ি –সে বিপন্ন।


সে বুঝতে  পারছে করোণার ভয়  চারদিকে
গন্ধ পাচ্ছে হ্যান্ড ওয়াশ স্যানিটাইজারের
তার  গায়েও পরতে পারে তার  ছোঁয়া
অথবা স্থানান্তর অন্য কোথাও অকস্মাৎ
যদি আমি  যাই হাসপাতাল -
সে বুঝতে পারছে- তাকে  আর কেউ রাখবে না
সেই চেনা  টেবিলে  অথবা  আলমারির কোথাও
কারণ সে ও আক্রান্ত ভাইরাসের জালে অব্যর্থ ।


খুব ভাগ্য খারাপ হলে তার গনকবরে য়াওয়া
আকাশে চন্দ্র সূর্য্যের মতো নিশ্চিত
যদি না আমার দেখা হয় আর নূতন ভোর।