কথা ছিল তুমি আসবে- কথা রাখনি ।অবিশ্বাশ অমর্যাদার দায়মুক্ত হোলে করোণার অভিশাপে । লকডাউনের ঢেউ সমাজের বহুকে সম্মানের জীবন দিল । কেউ পেল-দোষারোপ থেকে মুক্তি । কেউ পিষ্ট হোল বিশ্বাসের যাঁতাকলে।যাদের কিছু করার ছিল –কেউ কথা রাখেনি।


প্রেম ভালোবাসা বিশ্বাস অবিশ্বাস বিরতির নিঃশ্বাস পেল। তুমি ও আমাকে জিজ্ঞাসার সময় দিলে না । কেউই ভালোবাসার তাল কাটা সুরের সন্ধান পেলাম না । কারণ সমাজ, দেশ,ব্যাক্তি, রাজনীতি, ন্যায় অন্যায়, হিংসা দ্বেষ কেউই তোমারই মতো কথা রাখেনি। থমকে গিয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতে - কেউ খুশী কেউ অখুশী করোণার অভিশাপে । কাউকেই কথা না রাখার জবাব দিতে হোল না, পায়ে লকডাউনের শৃঞ্খল । কেউ কথা রাখেনি ।


বাড়ী ফিরবে দূরান্ত থেকে ওরা । বসে আছি তুমি আসবে বলে । কতই বা দূরত্ব -তোমার কাছে যাওয়াই যায় , শ্রম বিশ্রাম আর সময় দরকার । পরযায়ী শ্রমিকের মতো হাল হতে কতক্ষণ । আপনজনের যন্ত্রণায় কাতর, না দেখা চেনা মুখের আর্ত তাড়নায় দুরত্বকে নিকট করতে জীবন বাজী রেখে পদযাত্রায় ট্রেনের নীচে অথবা গাড়ীর চাকায় পিষে যাওয়া পরিযায়ীর জীবন দান ! ভয়ে পারিনি যেতে । আসলে- কেউ কথা রাখেনি ।


যারা কারোর কথায় বিশ্বাসী তাদের দুঃখ যন্ত্রণা দেখতে দূরবীণ লাগে না-হৃদয় চাই ।হৃদয় নাই দেশ, সমাজ, রাজনীতি, আইন আদালতের । তাদের সময় নাই হৃদয়োঙ্গমের । মৃত্যুকে জীবনের দুহাতের পুটলি করে অনিশ্চিত পথে সপরিবার-জন্ম ভিটেতে ফেরা । সবার হয়নি । কেউ ফিরল মৃত পরিজন নিয়ে ।ওরা জানলই না – কেন এমন হোল! কথা তো ছিল না এমনটি হবার । আসলে -কেউ কথা রাখেনি ।