সেই যে হবে শেষ দেখা
তা কি সেদিন জানতাম!
সেদিন তো মেঘলা আকাশ
দেয়নি কোন আভাষ-
বাতাসে ছিল না বেগ, মনেতে উদ্বেগ
হৃদয় তো কাঁদেনি, করেনি অভিমান
সেই যে হবে শেষ দেখা -
তা কি সেদিন জানতাম!


মাত্র দুটি বছর পরে-
সেদিনের সোনালী সন্ধ্যার পিঠ বেয়ে
আর যে ফিরবে না কোন সুমধুর বিকেল
পুরানো সব স্মৃতিরা মিষ্টি সুভাসে,
খুলবে না আমার হৃদয়ের দুয়ার
ভাসবে না চোখে তার উজ্জ্বল চোখদুটি
সবই যে আজ এমন হবে ম্রিয়মাণ
তা কি সেদিন জানতাম!


কতই তো প্রতি বছর চলে যাও শহরে
পুজোর ছুটিতে আত্মীয় বাড়ী-
ফিরে আসো হাজার কত হাসির গল্প নিয়ে
হয়েছে কত খুনসুটি কত আড়াআড়ি,
মনের আকাশে তো দেখিনি কালো মেঘ
গর্জনে বিদ্যুতে তোমাকে না দেখার চমকানি
আজ যে এমন করে হারাবো হার-মানা অভিমান
তা কি সেদিন জানতাম!



সেদিনও তো প্রতিবারের মতো বলে গেলে
“আসছি-আবার দেখা হবে”.
বুঝিনি তোমার আশ্বাস
চিরকালের মতো মিথ্যে হবে-
তুমি নেই-হা-হুতাশ ভরা হৃদয়কে
কি বলে শান্ত করি-মরমে যে মরি।
প্রেমিককে খবর দিতে মেঘদূতের অভাব নেই
তুমি দেশের শহরে নয়-খবরও পেলাম
সাগর পাড়ে বিদেশী নগরে তোমার পা,
শিক্ষা,নূতন জীবন,আরো কতো কীর জন্যে
সারা জীবনের মতো বিদেশিনী হলে-
রয়ে গেল প্রাণে আমার ভালোবাসার অপমান,
সেই যে হবে শেষ দেখা -
তা কি সেদিন জানতাম!


ভুলিনি পুরানো সেই জাতির জনকের জন্মদিন!
রবীন্দ্র সদন থেকে নলবন দুজনার খুশীভরা ঘোরা
প্রাণভরা হাসি ঢেলে রাখা পথে রাশি রাশি
বিদ্রূপে কেঁপে উঠে প্রাণ-ভাবতে হবে কল্পনায়
ঐদিনই তোমাকে সাজতে হবে নব-বধূ,
হায় হতভাগ্য দোসরা অক্টোবর
আমার দেওয়া অঙ্গুরির দিলে দ্বীপান্তর -
ঐদিন আমিও হলাম তোমার করুণার বলিদান
সেই যে হবে শেষ দেখা -
তা কি সেদিন জানতাম!


রচনা কাল-২৪/০৯/২০১৬