ক্ষমা করো রাজতন্ত্র!
বহু দশক না থেকেও এদেশে
এখনো তুমি ছদ্মবেশী রাজা এই গণতন্ত্রে-
রাজপাঠ চালিয়ে যাচ্ছ।
মহাভারতের শিখণ্ডীর নাম করে
প্রত্যক্ষ শোষণের অস্ত্র ফেলে
বিনা যুদ্ধে জয় করছ জন-কোষাগার
শত প্রকল্পের নামাবলী ঝুলিয়ে
গণতান্ত্রিক ধর্ম-যুদ্ধের কায়দায়
পুজো করে যাচ্ছ রাজনীতির মন্দিরে।


সময় আর জনরোষ দেশের সম্পদ,
তাদের বিস্ফোরণ জাতির মহারথ-
যজ্ঞভূমি অন্বয়ীর নিধন।
রাজতন্ত্র-তুমিও ক্ষমা পাওনি
পাবেনা এরাও-তোমার ভেকধারী গণতন্ত্রের কাণ্ডারি।
ক্ষমাহীন যন্ত্রণায়-তুমি কায়া নিয়ে ফিরে গেছ-
আপন রানীর দেশে-সাগর পারে,
রয়ে গেছে তোমার শোষণের মুখোস-ধারী ছায়া
অর্ধ-শিক্ষিতের দেশে শোষিতের বেশে
শ্রীকৃষ্ণের মুকুট-ধারী রাজনৈতিক দল
করছ শোষণ জাতির পদতল
মহতী মহিমায় সেবার ছলনায়।


আইন-পূজোর ডালা সাজিয়ে
মাতৃ পূজার উৎসবে নির্বাচনের নৈবেদ্য নিয়ে
জনসমুদ্রে রাজনৈতিক পুরোহিতরা
আশীর্বাদ পেতে আত্মমগ্ন-
আইনের পোষাকে শোষণের অধিকার,
পূজার শেষে পুরোহিত পাবে পুরষ্কার!


রাজা নেই দেশে - নীতি আছে তার
সেবার নামে দীনের ঘরে ঘরে প্রবঞ্চনার বাড়
তোমারই সভাসদ ঘুরছে
হাতে নিয়ে শোষণের তলোয়ার।
নিঃস্ব হবে দেশের ধন -
দলের রাজায় রাজায় হবে রেষারেষি
দেখবে তাদের প্রজা-গন-জনগণ
সেবার নাটক-সভার মঞ্চে
গলা-ফাটানো গনতন্ত্রের চিৎকার।


একটাই কথা- দেশ থাকলে রাজাও থাকবে
ধ্রুব  সত্য –রাজনীতির তন্ত্র হিসাবে
তার পরিচয় শত নামে-জন সেবার দল
কোথাও রাজার, কোথাও প্রজার
কোথাও দেশ বাঁচাবার দল।
কুমীরের কান্না সবার চোখে
সেবার বটিকা হাতে সেবক-সেবিকার মিছিল
জনগণের হৃদপিণ্ড নিয়ে ছুটছে উদভ্রান্ত যৌবন
অথবা মাতৃময়ীর কোলে করুণাময়ীর হাত যেন এলোকেশী
অশ্রুহীন চোখে বিদ্রূপের হাসি হেসে নীরবে
ফিরে যায় মন্দিরে নিয়মের ছদ্মবেশী।