আমি তখন মাঝে মাঝে
হাটতে যেতাম বনের ধারে-
খোলা হাওয়ায় পদ্য খুঁজি
বিলের ধারে, নদীর পারে৷
একদিন এক অচিন পাখি
সঙ্গেতে তার কোকিল ছিল
বললো "মোদের বন্ধু হবে?"
-এই বলে হাত বাড়িয়ে দিলো৷
কোকিল আর অচিন পাখি
ওরা দুজন 'চোখের বালি'
বন্ধু হলাম ওদের সাথে
চললো ভালোই কূটকাচালি৷
কোকিলটা খুব কম কথা কয়
উদাসীনও একটু বোধয়,
অচিন পাখি সেদিক থেকে
মনে হয় ইচরে পেকে
খুব মিশুকে
ভালোবাসার স্বপ্ন বুকে..
খোদা ই জানে !
কিসের টানে
লাগলো ভালো কোকিলটাকে,
মায়ায় ভরা চোখ দুটো তার
কি অমায়িক কুহূ ডাকে!
এমন করেই আমরা ত্রয়ী
সকাল সন্ধা মিশতে থাকি
হরেক কথা তাদের সাথে
হরবোলেতে ডাক যে ডাকি৷
একদিনকে মনে হল-
কোকিলটাকে ভালোবাসি,
বন্ধুত্বের টানেতো না
প্রেমের টানেই কাছে আসি
রোজ দুবেলা৷
অচিন পাখি একটু বোধয়
ক্ষুণ্ণ হতো..
লক্ষ্য করতো অবহেলা৷
"কোকিলের সাথেই খালি গল্প করো"
-বলতো রেগে,
-"না না কোথায়"
" এইতো আছি আমরা সবাই"
হেসে উড়িয়ে দিতাম হাওয়ার বেগে৷
তাদের সাথে বলেছিলাম-
দুচার কলি লিখতে পারি,
গপ্ এর ফাকে শোনাতামও
দুএক ছটাক অংশ তারই৷
-"আচ্ছা তুমি সত্যি কবি?"
অচিন সেদিন প্রশ্ন করে৷
আমি বললাম
-"তেমন কোথায়..
চেষ্টা করি কথায় কথায়
ঝোলায় খাতা নিয়েই ঘুরি
মাঠে, জলে
তেপান্তরে...."
-"ও! ক্ষ্যাপাটে?
কবি তো নও
ও ক্ষ্যাপাটে..
অমন ক্ষ্যাপা সস্তা বিকোয়
পদ্মা পারে হাজির হাটে৷"
-"যা!যা!
আমি লিখি ও না
তোর মতন ওই ক্ষ্যাপির কথা
আমি লিখি স্নিগ্ধকায়া মেয়ের কথা
কোকিল যথা৷"
-" অমন কবি গুলিয়ে খাবো?"
মুখ বাঁকিয়ে অচিন বলে,
-" আচ্ছা এবার আমরা যাবো
সন্ধাতো এই হলো বলে"
ক্ষান্তি দিয়ে
শ্রান্তি নিয়ে
ফিরে এলাম আমার ঘরে,
দুঃখ চরম
হাত পা গরম
সারা শরীর পুড়ছে জ্বরে৷
একটু শক্ত হতে গা টা
গেলাম ফিরে নদীর তীরে,
গাছের ডালে হোর্ডিং সাটা
"কবি না তুই নকলী হীরে...
অমন কবির দরকার নেই
অমন কবির দরকার নেই.."
Good afternoon frndz..
such a incidence has been really happened in my life... after reading Joy Goswami's ' megh balikar jonno rupkotha' I was highly inspired to write this... this is first part.. plz share your views for this...thanks a lot for reading.