রাত্রি ন'টা৷ বৃষ্টি অঝোর, শহর নতজানু
মুখোমুখি আমরা দুজন.. আমি এবং কানু৷
চুপচুপে আর ক্লান্ত শহর, দোকানটা বেশ খালি
ওর আর আমার মধ্যেখানে একটা লোহার জালি৷
যেমন থাকে কয়েদখানায়, যেমন পাখির খাঁচায়..
চোর-পুলিশে, মালিক-পোষ্যে সামনা সমনি বাঁচা৷
কানুর বাবার মদের দোকান, আমি রোজের ক্রেতা
মদ কিনি না গল্প কিনি.. ডিপেন্ড করে সেটা
মুডের ওপর৷ আজকে যেমন গল্প খাওয়ার ইচ্ছে,
বন্ধু আমায় ভালোই চেনে৷ সব মিশিয়ে দিচ্ছে
পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, চা খেত, স্কচ বানানোর প্রসেস,
এক একটা পেগ গিলতে থাকি উল্টো দিকে বসে৷
ওর পিছনের আলমারিটা ডিসপ্লে হয়ে ভাসে
আমার পেছন শহর তখন বৃদ্ধ হয়ে আসে..
আমিও দিই, বিল হিসেবে আমার যেটা দেবার,
বলি, যাদের কথা বলি.. যাদের ফরে এবার..
দুটো জগত মুখোমুখি হিসেব করেই গড়া
দুটো মানুষ, মধ্যেখানে একটা লোহার গরাদ৷
মাথা গুলায়৷ একটু নেশায়, একটুখানি ভয়ে,
আসলে কে মুক্ত আছে? কার চারিদিক কয়েদ!
...........................................
এটা আমার মৌলিক রচনা নয়৷ কবি শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায়ের একটা গদ্যরূপের ফেসবুক পোস্ট থেকে গল্পটা নিয়ে আমি শুধু তাকে কবিতার মতো করার চেষ্টা করেছি..