যেমন করে স্বপ্নে থাকে ভালোবাসার রূপকথা মেয়ে,
যেমন থাকে প্রেমের চিঠি বইয়ের তাকে গুপ্ত খামে,


ভেতর ভেতর যেমন আছে নন্দিনি প্রেম পাগল বিশুর,


যেমন কবির মাথার থাকে জট পাকানো পদ্য আকর,
যেমন তুমি ছেলে বেলা চিলেকোঠায় বদ্ধ রাখো,


আমার ছিল তেমন কিছু! আমার ছিল তেমন কিছু..


এতই গোপন হয়তো সেটা জানতে পায়নি রূপকথাও
সব কাহিনীই আমার একার, আমার ভেতর সুপ্ত! তাও


সাধ হতো যে লিখি ওকে কাব্য করে, প্রবাদপ্রতিম


কবির ভাষায়, আঁকি ওকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রূপে
যেরূপ দেখে চোখ ধাঁধাবে, সময় নেবে রেশ ফুরোতে


হাজার বছর পাড়ি দেবে কালজয়ী ওর অবাধ জ্যোতি৷


ইচ্ছে হতো ওকে দিয়েই ভরিয়ে দিই জীবন খাতা,
ওকেই লিখি, ওকেই আঁকি, ওকে নিয়েই জীবন কাটাই৷


ওর নামেতেই নামজুড়ে দিই লোকে চিনুক অমন ভাবেই,


চুরি হল! অত করে গোপন রেখেও লাভ হলনা,
স্বপ্ন ছেঁড়া-ছেঁড়াই রইল, বৃথাই চেষ্টা ওদের বোনার!


চৌর্য জিনিস চোরেরই হয়, কি করে আর ও মন পাবে?


কোম্পানিতে হিসেব করি জীবন কাটাই খাতা লিখি
অবসরে কাব্যচর্চা, লোকে বলে— যা তা লিখি!


যা তা-ই লিখি! দুঃসময়ে দুঃস্বপ্নই আপন এখন,


যে স্বপ্নটা আর দেখিনা তাকে দেখার চেষ্টা করি,
ঘুমকে খুঁজি এপাশ ওপাশ, সব বিফলে শেষটা—বড়ি!


ও রূপকথা, একদিনও কি স্বপ্নে তুমি আমায় দেখ?


দেখলে হয়তো দেখবে এখন দুগাল জুড়ে ধুসর দাড়ি,
আগের মত ছিপছিপে নই চেহারা বেশএকটু ভারীই,


সারা গায়ে বাস্তবতার সময় মেখে সামনে এলে..


চিনবে আমায়? হয়তো চিনবে আবছা আবছা নাম মনে নেই
আমিও সব মেনেই নেব ওসব কিছু কাম্য জেনেই..


যা খুশী তাই ডেকো আমায়, হাতের কাছে নাম না পেলে৷