চাঁদমাখা মুখখানী তোর
মায়ায় ভরা মায়াবী,
ইচ্ছে করে দেখি অপলক
তোর অবয়ব যেন করবী।
চাঁদে আছে যত মায়া আর
দৃষ্টিকাড়া সুন্দরতা,
সব যেন তোমা থেকে নিয়েই
চাঁদ হয়েছে সুন্দর পেয়েছে পূর্ণতা।
যদি সুধাও কে বেশি দৃষ্টি নন্দন
পূর্নিমার চাঁদ নাকি তুমি?
যেখানে রবই বলেছেন তুমি সুন্দর
সেখানে উলটো বলতে যাব কেন আমি?
চাঁদকে তো দেখেছি অনেক
দেখেছি হাজার বার,
তবে দিনের আলোতে চাঁদ
কভু দেখিনি দেখেছি শুধু একবার।
আটাশে এপ্রিলের এক শেষ সকালে
সূর্যের আলো পেয়ে চাঁদ ছিল লুকিয়ে,
রেলগেটে এসে যেই অটোতে উঠেছি
তাকিয়ে দেখি সামনের অটোতেই এক চাঁদ মিটিমিটি হাসছে।
চাঁদের হাসিতে আর মায়াবী আলোতে
চারপাশ আলোকিত হয়ে আমায় কাছে টানছে।
নিজের অজান্তেই কখন যে ছুটে গেছি তার কাছে
তার কিছুই বলতে পারব না পাছে।
আড়চোখে তাকে দেখেছি যতবার
অপলক দেখার ইচ্ছেটা তার চেয়ে বেশি হয়েছে হাজারবার।
কি অপরূপ আঁখিদুটি
কী সুন্দর তার ভ্রমরা,
দুধমাখা কপোলদুটি তার
চিবুক যেন মায়ায় মায়ায় ভরা।
মাঝগালে এক কালো তিল
স্বর্ণের আংটিতে বসানো যেন কোহিনুর হীরা,
ঠোটদুটি মেখেছে মিশকে আম্বর
ছুটছে তা থেকে নববধূর লজ্জারুণীরা।
আর দন্তরাজিগুলো যেন মুক্তার প্রলেপ মাখা
তাতে নেই কোনো খুত, আছে শুধু আলোর রেখা
হাসির সাথে তা জ্বল জ্বল করে উঠে
যেভাবে অন্ধকারে ঝোনাকিরা জ্বলে মাঠে।
আর হাসিখানি তার অমৃতসম
কী যে লাগে মধু,
দেখিলে একবার, ইচ্ছে জাগে দেখি বারবার
যেন সে আমাকে করেছে কোনো টোনা যাদু।
এত সুন্দর দেহের গড়ন এত অপরূপা রূপ
এত মিষ্টি গলার কণ্ঠ
নেইতো আমার কাছে তা বর্ণনার ভাষারূপ।
শুধু এতটুকু বলি,
তোমার রূপের গুণাগুণ যে গাইবে যতবেশি,
তাতেও তা বলা হবে কম
তুমি যেন স্রষ্টার নিজহাতে গড়া এক লজ্জাবতী সরলা রূপসী।