জানালার শার্ষিতে তোমাকে দেখছিলাম
কাল রাত হতে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে
তোমার ঝাপসা অবয়ব
জানালার শার্ষিতে জমা বাষ্পে
বিষন্ন বৃষ্টিতে বাষ্প জমে মনে। তুমি নেই সেখানে।।
।।
মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো বাহারি পোশাক
পোশাকের ভাঁজে ঝাঝালো ন্যাপথালিন
আরো আছে রাশি রাশি মরা মাকড়।
দেরাজের অগনিত সুগন্ধি।
আজ ওগুলোতে কটু গন্ধ।
সুগন্ধিতে তোমার গায়ের গন্ধ মিশে
অদ্ভুৎ এক মাদক ঘ্রাণ ভেসে আসে। তুমি আসো না।।
।।
বাগানের ওধারটায় একটা নিঃসঙ্গ মোরগ
ক্রমাগত ভিজে চুপচুপে হচ্ছে
সঙ্গিনীর সঙ্গে দুর্লভ অভিমানে।
একটা বুড়ো কামিনী তবু ফুটিয়েছে কয়েকটি ফুল
প্রায়  মৃত জীবনে কিছু প্রাণের চিহ্ন মেলে
ফুল ঝড়ে, ঝড়ে বৃষ্টি বাগান পথে। তোমার বিরহ ঝড়ে পড়ে না।।
।।
তুমি আসবে ভেবে
সরিয়ে রেখেছিলাম গীতিবিতান
একটা গানের রেকর্ডও স্পর্শ করিনি।
স্পর্শ করিনি সুরার মাদক তরল।
তোমার রূপের মাদকের চেয়ে কিছুমাত্র বেশি
নেশাদায়ক কী ওই জল?
।।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামে, নামে সন্ধ্যে,
ধরনীর বুকে নামে রাত।
আমি একা বসে রই জানালার পাশ
যদি তুমি আসো একবার
যদি রাখো ওই দু’টি চরণ একবার
এই পর্ণকুটিরের এঁদো বারান্দায়
আঁচলটি বিছায়ে বসো এলিয়ে
সান্ধ্য আবছায়ায়। পূর্ণতা পেত এ হৃদয়।