এই অমরাবতির নিচে দাড়িয়ে আজ কথা দিলাম প্রিয়তম।
কান্নাভেজা শ্রাবন আকাশের শপথ করে,
কিছু অসময়ের কদম ফুলকে সাক্ষী রেখে,
কথা দিলাম,
তোমার মন খারাপের দিন আসবে না ফিরে আর।
কখনো মন খারাপের কবিতা লিখব না আর।
আর কভু বর্ষিবেনা বেদনার তীব্র বারিধারা।
ছিন্ন বীণায় বাজবে না সুর বেদনার।
এ উঠতি কবির এলোমেলো কাব্য, কিংবা
দু’ছত্র অগোছালো প্রেম নিবেদন
আর তোমার রুদ্ধ দ্বারে করবে না বিরহ রোদন।
ধুলোপড়া ইজেলে আর কাটবনা একটাও বিষন্ন আঁচড়।
উদাস নয়নে তাকিয়ে থাকার মতো কোনো দৃশ্যপট, হাতছানি আত্মমগ্নতার।
শুকতারা উঠলে একাকী সন্ধ্যায়,
তুমি কখনো দেখতে পাবে না তোমার চারধারে
ভীড় করা অসহ্য সময়।
আমাকে অনুভব করতে দেব না একটুও,
যখন আমাকেই তোমার সবথেকে বেশি দরকার।
শ্রাবন মেঘের দিনে এ আমার একাগ্র অঙ্গিকার।
শুধু উদাস বিকেলে একটু আধটু মন খারাপের কালে
কিংবা আকাশ ভেঙে আবার শ্রাবণ ধারা ধরনীর বুকে
সবেগে আছড়ে পড়লে। টুপ করে হয়তো পড়বে মনে
কিংবা হয়তো আসব পরের অঘ্রাণে।
অনাহুত স্মৃতির মতো, অনিচ্ছায় কপালের কোণের ভাঁজের মতো,
কারনে অকারনে।
অনিচ্ছুক অনুগ্রহে, আমায় রেখো তোমার স্মরনে,
তোমার মন খারাপের দিনে।