আজ ঘরে না ফিরলে কেমন হয়?
ভুল পথে যদি বেরিয়ে পড়ি পথের ধাঁধায়
বাউন্ডুলের স্বপ্ন ঘোরে
পথ ঘুরে দেখব মন ভরে
পায়ে মেখে নেব ধুলোর আশির্বাদ
ঘরে ফিরবার নেই সাধ।


দিনান্তে ফিরতে হবেই-
এমন দিব্যি কেউ দেয়নি কখনো আমায়!
গৃহী মানুষের মতো সন্ধ্যে হতেই
হৃদয় আনচান করে না, অমোঘ আচ্ছন্নতায়।
ঘরকে ভুলেছি সময়ের মুগ্ধ নির্জনতায়।
কোনো মায়াবী সেথায় আঁচল ছড়িয়ে
ঘরের রোয়াকে বারবেলায়
সদ্যস্নান সিক্ত পিঠময় অবিন্যস্ত চুলে
যে অবিশ্রাম ডাকতো অবেলায়, সাঁঝের মায়ায়
সেই সর্বগ্রাসি মায়ার টান হৃত হল কতকাল।
বিবাগী হতেই ভাল লাগে আজকাল।


ঘর মানেই ইট কাঠের জড়স্তুপ নয়
রাতারাতি গড়া কোনো সুখ স্বপ্নও নয়
একটু একটু করে মনের কল্পনায় তাকে সাজাতে হয়  
কতদিনের কত আলাপনে,
কত সুরে বেঁধে কত আয়োজনে
সে সেঁজে ওঠে চার দেয়ালের আল্পনায়।


ঘর বেঁধেও ছিলাম কোনো বিস্মৃত কালে
বড় সাধ করে, টুকরো টুকরো স্বপনে।
অচেনা ঝড়ের ক্ষণিকের দ্বৈরথে
কিছু ঠিকঠাক ঠাওড়ানোর আগেই
আবার হারালো কালের অস্তাচলে।
ঘরের কথা ভাবলেই
ঘরহীন এলোমেলো ভাবনা মনে জাগে।
চার দেয়ালে সাতপাঁক বন্ধন বিতৃষ্ণ রাগে।
ছায়া আর কায়ার সাথে চির আড়ি পাতাতে
একটা নিষিদ্ধ আনন্দ হাতছানি দিয়ে ডাকে।
অবিশ্রাম অবেলায় ঘরের ডাক
বেসুরো বাঁশির মতো, বড্ড বিরক্ত লাগে।
ঘরের দ্বিচারী মায়ায় পড়ি না আর।
গৃহহীনতার নিষ্ঠুর আনন্দ আমার।
পড়ন্ত যেীবনে ডাকেনা দিবার অবসানে।
পথের মায়ায় বাঁধব আমার প্রাণ
ব্যর্থ জীবনের কাছে মাগব পরিত্রাণ।