আমাকে তুমি চিনতে পারবেনা কিছুতেই,
আটপৌড়ে জীবনের চেনাজানা ফ্রেমে।
ছকবাঁধা সংজ্ঞাতে বাঁধতে পারবে না
আমার ছন্নছাড়া ঔদাসীন্যকে
আমি কোনো অস্তিত্বশীল স্বত্ত্বাই নই
আমি শুধু একটি দৃঢ় কন্ঠস্বর
সবলে চেপে রাখা অবদমিত উত্তাপ
নিষিদ্ধ দুর্বার প্রেমের
হতে পারে,
আমি একটি ধারনা মাত্র, কল্পিত নরকের হুতাশন
অথবা শুধু একটি অবরুদ্ধ জিঘাংসার
প্রচন্ড বারুদ।
ক্রোধাগ্নির জলন্ত এক অঙ্গারে, বিশুদ্ধ অমৃত কোনো।
আমাকে বাঁধা যাবেনা ক্লীবতার
অসুস্থ শেকড়ে।
বিবর্ণ ছায়ার মরিচিকায়, লালসার অন্তিম তাড়নায়।
আমি নই কোনো একক স্বত্তার,
আমি জাতীয়তাবাদী নই
প্রগতি নই, আধাখিচড়ে কবি কিংবা
নই দেশপ্রেমিকও।
হয়তো হব একজন রাষ্ট্রদ্রোহী
তবু মস্তিষ্কের এক কোণে
একদম গহীনে, যেখানে মন নামে একটা ধুসর
অস্তিত্বহীন নির্বোধ বস্তুর উপস্থিতি
সেখানে, সেই গহীনে ছোট একটি ব-দ্বীপের তেলরঙ ছবি
সেঁটে রাখব নিজের মতো।
আমাকে তোমাদের চেনাজানা সংজ্ঞায়ীত সভ্যতার
সুনির্দিষ্ট ফ্রেমে বন্দী করতে পারবে না কিছুতেই।
দশটা পাঁচটা ভ্রষ্ট সামাজিক জীব
ভ্রষ্টাচারে ন্যুজ অসামাজিক ক্লীব-
না, কোনো ফ্রেমেই নয়।
আজ কোনো কবিতা নয়, আজ নয় কোনো সুখ কাব্য
আজ দ্রোহের দিন, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে তছনছ করবার।
আজ তবে হোক দ্রোহের গনগনে আগুন
জাগতিক অসভ্যতাকে গালি অশ্রাব্য
আজ হব পোষ না মানা, বাউন্ডুলে অসভ্য!