সুপ্রাচীন এঁদো গলির তেমাথায়
চৌরঙ্গির আবছায়া স্যাতস্যাতে ঘুলঘুলিতে
ক্লিশ নাগরিক সভ্যতার ভঙ্গুর হ্যাঙারে, জড় চেতনার পরিত্যক্ত ভাগাড়ে
চতুর্দশী যৈবতি পূর্ণিমায়
বেবুশ্যে নগরের তেলরঙ পোর্টেট আঁকে
পোড়খাওয়া রঙকারিগর।
আধপোড়া সিগারে দম দিয়ে
বিকারগ্রস্থ নেশাখোরের ঝাঁঝালো নিষিদ্ধ আনন্দে।
বিবর্ণ বাসি চাঁদ রাতের পরিত্যক্ত ইজেলে
রাত বিরহী নেড়ি কুকুরের ডাকে
চাঁদোয়ার মায়াবি টানে।
ধবল জোৎস্না গ্রাস করে সদা জীর্ণ নাগরিক সভ্যতারে।
ঘুমের নগরে রাত নামে, পায়ে পায়ে,
ফিসফিস নিষিদ্ধ সুখের আবগাহনে।
গলির সবকটা রোড লাইট নিভে যাবে,
ঘরফেরত পুরুষেরা বিছানায় জিরোবে,
প্রণয় পিয়াসি প্রণয়িনীর খোঁজে ত্রস্ত চকিতে
এপাশ ওপাশ আরো বহুক্ষন।
পাড়ার চকিদার বাঁশি ফুঁকে ক্লান্ত হবে।
ল্যাম্পপোস্টের বোম্বেটে ছায়া চাঁদের বয়সের সাথে
আরও বেঢপ লম্বা হবে।
ঢিমে হবে তুলসি প্রদীপ। বেবুশ্যের লেপ্টানো কাজলের মতো।
শুধু আমি জেগে রব উদোম অবদমিত ইচ্ছে নিয়ে।
তোমার পদধ্বনি,
দরজার ওপাড়ে ক্রমশ শোনার দুরাশায়।
কান পেতে রব। যদি আসো?
সামান্য রাতে, অসামান্য রূপে।
এই রাতের চাদরের ছদ্মবেশে।
প্রাগৈতিহাসিক বিদগ্ধ রাতের নগরে।