তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে
আমার যত ক্ষুদ্র আশা, রাঙিয়েছিলে প্রভাত সমীরণে।
হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে,  হৃদ মাঝারে ডাকল সুখের বান
রুদ্ধ মনে সুপ্ত স্বপন, রাত প্রভাতের করল আমন্ত্রন।
।।
শেষ বিকেলের মদির আলোয়, বাড়িয়ে দিলে আমার হাতে হাত
বললে ডেকে, ‘ভালবাসি’। নির্জনতায় কাটল পহর রাত।
লজ্জা রাঙা বদনখানি একটু কিগো উঠলে কেঁপে কেঁপে?
এলিয়ে চুলের সুবেশ খোঁপা, বুকের মাঝে নিজকে দিলে সঁপে।
।।
আকাশ ভেঙে নামল দেয়া, সপ্তডিঙা মেঘের খেয়া
ডাগোর মেয়ের কাজল কালো আঁখি।
উষর বনের উদাস পথিক, বজ্রবাণে লুব্ধ গতিক  
শুন্য মনে কোথায় তারে রাখি?
।।
আবার তুমি ডাকবে কি গো প্রহর শেষের নিবিড় মুগ্ধতায়?
সেই যে প্রথম ডেকেছিলে? নিটোল প্রেমের গভীর শুদ্ধতায়?
শেষের আগে আবার শুরু
প্রলয় বীণার গুরু গুরু
ভাসব সুখে, সলাজ মুখে, বাঁধব আবার নতুন প্রেমের গান,
অবাক মেয়ের লাজুক চোখে, বিনি সুতোয় গাঁথব আমার প্রাণ।


(প্রথম লাইনটি প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের লেখা হতে ধার করা)