চিরচেনা আদিম বিশ্বাসের জীবন
বালিশের অঁড়ের পরিচিত গন্ধের মতো
একান্ত আপন।
যখন একটু একটু করে ক্ষয়ে
যবনিকার বন্দরে ভেড়ে তরী,
তখন হঠাৎ মনে পড়ে,
কত কী করা হয়নি,
কত পথে আজও পড়েনি পায়ের ছাপ।
কত বলা না বলার অপেক্ষা, একাকি গোপনে কত কুন্ঠিত পাপ।
কতটা জানার রয়ে গেল ফাঁকি?
বুঝে নেবার আর বুঝিয়ে দেবার বাকি।
জেনে নেয়া বা জানাবার, পড়ে যাবার বা পড়বার?
কতটা ক্ষণ কাটাব নিরব একাকী?
কতগুলো প্রিয় বইয়ের আনকোড়া পাতায়
এখনো বুলাইনি চোখ
হয়তো এখনো তার
প্রগাঢ় আবেগে, রুদ্ধশ্বাস আবেশে
প্রিয়াকে বলা হয়নি-“ভালবাসি”।
শুধু বিশুষ্ক অতৃপ্তি নিয়ে
বাতায়নরুদ্ধ ভূমি শয়ানে, অসম্পূর্ন মানুষ হয়ে
চলে যাবার গ্লানি রাশি রাশি।
সেদিন কি সমাগত?
তার দেরী কত?
যেদিন লিখতে পারব না, শুধু অনুভব করব
কন্ঠস্বরে অক্ষর নয়, শুধু বোবাকান্নার কষ্ট ধারন করব,
বাকরুদ্ধ হব হৃতশ্বাসে, অক্ষম দৃষ্টিতে ।
সেই দিনটি যখন দাড়াবে দুয়ারে,
যেদিন চোখের আলো নিভে যাবে
কী করে কাটবে সময়?
নাকি সেখানে সময় নামে কিছু নেই?
সময় শুধু একটা অনুভব, একটা হিসেব।
কয়েকটা মিনিট, সেকেন্ডের সমষ্টি
ভবিষ্যতে গেলেই অতীত হয়ে যায় সময়।
।।
আচমকা মনে পড়ে
তবুতো বেঁচে আছি, আহ! বেঁচে আছি।
এখনও হাত বাড়িয়ে নিজেকে ছুঁতে পারছি।
হৃদপিন্ড হতে প্রবাহিত গরম রক্তের
উষ্ণতা অনুভব করতে পারছি পুরো অস্তিত্বে।
মনে পড়ে, বেঁচে থাকতে বড় ভালবাসি।