যদি কেউ প্রশ্ন করত, “প্রিয় রং কী?”
একটিবার,
শুধু একটি বার শুধাত, “প্রিয় সময়?”
পাশে বসিয়ে একান্তে
জানতে চাইত, “প্রিয় মুহূর্ত কোনটি?”
আফসোস! যদি চাইত!
অন্তত একজন! খুব চেনা কেউ।
কিংবা ক্ষণিকের পরিচীত
হঠাৎ পথে চেনা পরিচয় একজনা।
।।
তবু যাহোক বলতে পারা যেত
কিছু না বলা কথা। অকপটে,
অতি সন্তর্পণে। পরাণেরও গহীনে
লুকোনো অল্প কিছু গোপনীয়তা।
সযতনে।
এতটা বছর নিমীলিত নয়নের লজ্জায়
কুঞ্চিত ছিল যারা
অবগুন্ঠন খুলতাম, একটু একটু করে।
উড়িয়ে দিতাম সময়ের ডানায়।
ইস! যদি কেউ শুধোতো!
একটি বার, ক্ষণিকের তরে।
।।
এসেছিল একজন
একবারই,
সে বহুকাল বিস্মৃত পাথর সময়ে
হঠাৎ দমকা ঝড়ের মতো,
বেনো জলের তোড়ে ভেসে ভেসে
বাউন্ডুলে জীবনে। যেন একটা বৈশাখি ঝড়ের মতো
উষর বুকে বান ডাকিয়ে
মন দরিয়ার দু’কূল ভাসিয়ে
এসেছিল সেই একজন
নীল খাম চিঠির মতো, নীলকন্ঠের হালকা পালকে
শুধু পেয়েছি তার মৃদু আভাস
শুনেছি তার নুপুরবিহীন নগ্ন পায়ের আওয়াজ
আঙিনার তপ্ত দুপুর ভূমে
দেখেছিলাম দু’গাছি অবিন্যস্ত কুন্তলে।
এসেছিল।
সে এসেছিল বিস্মৃত কোনো কালে।
নিয়ে সাথে অবারিত আবেগ,
সুখ রাশি রাশি
তবু আজও আমি
বিরহের নোনা গাঙে ভাসি।