অস্তিত্বে মিশে যাওয়া তুমি!!
অথচ আজ কতকাল অস্তিত্বের আকালে আমি।
খুঁজি, অস্তিত্ব অথবা তোমায়!
তপ্ত দুপুরে মেঘের আড়ালে রোদে'রা হারালে, ছায়া হয়ে।
অথবা, সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি,
যে-ই একটু কমলো, তার ফাঁকে রংধনু'র নীল রংয়ে।
হয়তোবা শরতের শেষে ভোরের শিশিরে
জড়িয়ে থাকা ঘাসের মুক্ত কণায়,
নয়তো পড়ন্ত ওবেলায় গোধূলির আবীর মেখে
নীড়ে ফেরা শালিক কিংবা চড়ুই ডানায়।
জোছনার জলে ছুঁয়ে নামে অন্ধকার
পেঁচারা মিশে যায় আঁধারের নিস্তব্ধতায়,
আমি শুনি সমুদ্রের গর্জন
অস্তিত্বহীন পরাজিত পৃথিবী, ব্যথার তীব্রতায়।
থামে কোলাহল, শেষ হয় লেনদেন অথবা
কামের আদিমতা, অতঃপর ক্লান্ত ধরিত্রী
ঘুমায় ক্লান্তির অবসাদে,
আমি তখনও খুঁজি অস্তিত্ব!
আর আমার দু'চোখ কেবলই ছুটে যায় ঐ
শশ্নান সমাপ্তির পথে।
নিকষ কালো আঁধারে হারাই নিজের ছায়া টা-ই,
দু'হাতে মাখি বিসর্জিত অস্তিত্ব পোড়াঁ বিবর্ণ ছাই।