বৃষ্টি ভেজা রাতে কাক ভেজা এই আমি তোমার অপেক্ষায়
টং দোকানের চা'য়ে উষ্ণতা বাড়াই শরীরে, হৃদয়ে বিদ্যুৎ চমকায়।
একটার পর একটা ট্রেন দ্রুত স্টেশন পেড়িয়ে, আমার অপেক্ষা কেবলই দীর্ঘ হয়।
ক্ষণে ক্ষণে বাতাসের ঝাঁপটা কাঁপিয়ে দিচ্ছে চারপাশটা, আমার দৃষ্টি অপলক ঐ প্লাটফর্মটায়।
নিকোটিনের শলাকা আঙুলের ফাঁকে ভিজে যায় বারংবার খুব বে-খেয়ালে,
ভিজি আমি আষাঢ়ের বারিধারায়, অথচ কথা ছিলো দু'জনে হারাবো জোছনার জলে।
হাতে থাকা গোলাপের পাপড়িগুলো ছুটে চলে নৌকা হয়ে দুর, বহুদূরে
কি হিমশীতলায় প্রবাহিত শীত মেরুদণ্ড চিড়ে আরো গভীরে, আর আমি যাই পুড়ে।
রাত গভীর থেকেও আরো ভয়ংকর, পাওয়ার আশার সাথে সাথে বাড়ে শঙ্কা
সকল ট্রেন নিয়েছে বিদায়, বৃষ্টি থেমেছে সে-ও অনেকক্ষণ,
বুক জুড়ে থেমে থেমে বইছে বাতাস দমকা।
হে বাতাস আরো জোরে হও প্রবাহিত, আমায় যাও নিয়ে দুরে কোথাও
হই স্মৃতিভ্রষ্ট, অচেনা এই আমি অচিনপুরে একলা একা, দিলাম ছুটি, ইচ্ছে মতো তুমি হারাও।