তোমাকে দেখবো বলে একটি বার
হৃদয় জুড়ে এতো আয়োজন।
রোদ, বৃষ্টি, ঝড় মাথায় নিয়ে  
অপেক্ষা হাজার বছর ধরে।
দেখা পাবো পাবো, তুমি শুধু
অপেক্ষা বাড়াও, দীর্ঘ হয় কেবল
তোমাকে দেখার পিপাসা, অনন্তকাল।
তোমার বাড়ির দখিনের বারান্দা
কৃষ্ণচূড়া, রাস্তা, ল্যাম্পপোষ্ট ওরা জানে, আমি      
কত প্রহর দাঁড়িয়েছি দেখার আশায়।
তুমি কফি কিংবা চায়ের মগ হাতে আনমনে
আমি কৃষ্ণচূড়ার ওপারে, তোমার এলো চুল
ছুঁয়ে দেখা হয়নি কভু, শিশির ভেজা রোদ্দুর।
কত হরতাল, অবরোধ অথবা কারফিউ
কোনো কিছুতেই অবরুদ্ধ নই আমি,
তোমাকে দেখার প্রবল আকর্ষণে।
তুমি খেয়াল করোনি কোনদিন অথবা করেছ
সে হিসেব আমার নেই, শুধু তোমার ছায়া হতে চাওয়া।
ধরো শহর জুড়ে ১৪৪ ধারা, কোথাও কেউ নেই
বিশ্বাস রাখো ঐ একটি মানুষই রাজপথে আমি
শুধু তোমাকে দেখার অপেক্ষায়, বুলেট বুকে ।
তোমার বাড়ির রাস্তার কুকুর গুলো তাড়িয়েছিল খুব
এখন ওরাও অপেক্ষায় আমার সাথে।
কখনো সামনে দাঁড়ানোর সাহস করিনি
যদি দেখার সুযোগ হারাই, সামনে দাঁড়ানোর অপরাধে।
চাঁদ হয়ে তুমি আমার আকাশে
কাছে চাইনি ভুল করেও, ভিজি প্রতি রাতে  
তোমার জোছনা জলে সারারাত ধরে।
তুমি ছুঁয়ে যাও আমায় জোছনার জল হয়ে
আবার অপেক্ষা বাড়ে ফের পূর্ণিমার।
অমাবস্যায় জোছনা ছুঁয়ে আর হয় না স্নান
তোমার বিপনি বিতান, কলেজ আর বান্ধবী বাড়ির রাস্তা
সবই আমার পরিচিত, কেবল তুমিই তা জানো না।


দেখা'র ইচ্ছে থাক অনন্তকাল
আমি মিশে থাকতে চাই কৃষ্ণচূড়ার লালে
আর ল্যাম্পপোষ্টের নিয়ন আলোয়
অথবা তোমার হেঁটে যাওয়া রাস্তায়
তোমার গ্রিল জুড়ে সোনা রোদ্দুরে
কিংবা তোমার পায়ে জড়ানো শিশিরে
ইচ্ছেরা প্রবল হোক দিন দিন
কেবল তোমাকে দেখা'র অভিপ্রায়ে।