রোদ বলো অথবা বৃষ্টি, আমি দাঁড়িয়ে ঠায়
"অপরাজেয় বাংলা ”র ন্যায়।
তুমি আসবে বর্ষার কদম ফুল হাতে,
বলবে চড়ুই পাখি আমরা দু'জন থাকবো এক সাথে।
কি দিবস অথবা রজনী  আমি "জাগ্রত চৌরঙ্গী''র  ন্যায়
আছি বর্তমান, থাকবো শুধু তোমারি অপেক্ষায়।
তুমি বহতা নদী,  সাগর এই আমি তোমার প্রহর গুনি,
তোমার অধরের ফাঁক গড়িয়ে ”ভালবাসি" কথাটি মুগ্ধতায় শুনি।
তোমার ভাবনায় কাটে প্রহর, দিন, মাস পেরিয়ে বছর,
শূন্য আমি পরিপূর্ণ পূর্ণতায়, বুক পাঁজরে সাজিয়ে বাসর।
শরতের নীল আকাশ, সাদা মেঘ যেন বয়ে চলা বরফের এক নদী,
বিশ্বাস রাখো, ভালবাসা ছাড়া হয়নি কিছুই,
                 না হলে এখনো কি করে অবিচল পৃথিবী।
হেমন্তের সকালে কুয়াশায় চাদরে জড়িয়ে বুকের পরে,
উষ্ণতার তরে তোমায় আহবান, কেন তুমি দাঁড়িয়ে দুরে?
তুমি হাসনাহেনা কিংবা মাধবী হও, আমি বারংবার উজ্জীবিত ঘ্রাণে।
মধু চোরা ভ্রমর নই, মালী হবো খুব যতনে আগলে রেখে এ প্রাণে।
অপেক্ষার পালা করো শেষ, এসো তুমি দৃষ্টির সীমানায়।
হাতে হাত, পায়ে পায়ে চল হারাই ফাগুন যে আজি আঙিনায়।