মোঃরুবেল
বিশ্বনাথ তুমি দেখে যাউ
পরীক্ষা হলের এই ঘৃণ্য হাল
নকলে ভরেছে মাথা নেই যে কোনে কঠোর পরীক্ষক,
বেঁচে থেকে মৃত তাঁরা যাঁরা শিখিয়েছে সত্য পুঁথি ;
তাইতো দুঃখে বুকের হাড় চিড়ে একটু সত্যের আলো খুঁজি।
বিশ্বনাথ এই কি মানুষ?
নাকি এরা শ্মশানের আর গোরস্থানে মৃত শরীরের দূষিত বর্জ্য,
বিশ্বনাথ আমি যে সাধুর চেলা হয়েছি এ অযাচিত ধরাতে
সাধুর ভীতরের ভন্ড দেখবো বলে।
আমি মালিকের প্রভুভক্ত খাশ কুকুর,
নিয়মিত বসে থাকি পায়ের সামনে
তাঁর ভীতরের কুকুরটিকে দেখবো বলে।
বিশ্বনাথ ধরা অবাসযোগ্য!


আমি লাশেদের সাথে লাশ হয়ে থাকি
আমি পেটের পরে ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধার পাথর তুলেছিলাম,
মহম্মদের কষ্ট বুঝতে।
আমি তো দেখেছি বিশ্বনাথ
জলজলে ফুলগুলো শুকিয়ে যেতে!
বিশ্বনাথ তোকে দেখানোর জন্য পৃথিবীর পৃষ্ঠা থেকে,
কিছু নির্মম সত্যকে টুকে রেখেছিলাম
আজ উইয়ের দখলে।


আমি পথিকের বেশে চলি
চাপা পড়া কংক্রীটের নিচে হাজারও রক্তাক্ত ক্ষত খুঁজি নিরবে,
চকচকে অট্টালিকায় সাদা চুনের নিচে কালো দাগের আচর
সূর্যটাকে গিলে খাই চাঁদ!
তাইতো সকলেই ঘামের মতো মুছে নিয়েছে- সিংহ পুরুষদের নাম।
বিশ্বনাথ আজ চাই গভীর আক্রশে জীবনের অবশান।
কেননা আমি নির্বিঘ্নে পারি না বলতে সাদাকে সাদা,
ওঁরা তো আমার চোখে কালো চসমা এঁটে দেছে
আমার কণ্ঠকে রুদ্ধ করে রেখেছে কালো ঘরেতে।
বিশ্বনাথ তুমি কি জান?
ওঁদের উপরের খোলসটা শুধু মানুষের অবয়বে ঢাকা,ভিতরে?
ভিতরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে পোকার ঘর,
তাইতো এ হল আজ নোংরা
তাই গভীর ক্ষোভে বদল চাই নষ্ট জীবনের।।