এই পঁয়তাল্লিশে আবার ইচ্ছে করে
আমাদের মনে মনে সাজানো ইকোপার্কে
যেখান থেকে  আকাশ নেমেছে খুব কম দুরে
বিকেলের চড়া রোদ গায়ে মেখে
তুমি ঘাস খেতে, ঘাসের ডগা
একটা দুটো করে দাঁতে দাঁতে
কলেজের সেই মাঠের কোনায়
মেহগনি গাছের ছায়াতে , আবার বসতে ।
আমি যখন তোমার চোখ নিয়ে
আরেকটা নতুন কবিতা লিখতেম
আকাশকে সাক্ষী রেখে গলা ছেড়ে গাইতেম
তুমি ঠিক তখন অনেকটা আনমনে
ঘাস খেতে , মনে পড়ে !
যেদিন তোমায় বাদাম খেতে দিইনি
অভিমানের অশ্রু যেখানটায় পরেছিল
সেদিনও দু-তিনটে ঘাসের ডগা তুমি খেয়েছিলে
নিজের অজান্তে, অথচ ঠাট্টাটাই করেছিলেম তুমি ঘাস খাও বলে ।


আজকে আকাশ অনেক দুরে
মেহগনির যৌবন নেই ডাল-পালায়
লক্ষ কোটি ইট পাথরের ভীড়ে বেঁচে আছে ঘাস দু-একটা,
কলেজ চত্ত্বরে আমার আসা হয় নিয়ম করে
শুধু তুমি দুরে বহু দুরে, সাত সমূদ্র তের নদীর ওপারে
মাঝে মধ্যে ভিডিও কল, নুতবা ম্যাসেঞ্জারে,
আমার প্রোফাইলের কভারে ঘাসে ভরা বিস্তির্ন মাঠ
তোমার প্রোফাইলে প্রিয়জনদের হৈ-উল্লাস ।


অনেক দিন হয়না লেখা আর প্রেমের কবিতা
সংসার, স্ট্যাটাস, ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ
চিন্তায় চেতনায় বেলা বয়ে যায়,
ছানি পরে গেছে চোখে,
আকাশ কাছে কিংবা দূরে ,
সে তো দিগন্তে, সাগরের বুকে,
এখনকার বেঁচে থাকা শুধুই স্মৃতি সুখে ;
তাইত, এই পঁয়তাল্লিশে আবার ইচ্ছে করে
আবার গিয়ে বসি সেই ইকোপার্কে ।