আকাশে সুর্য উঠে সুর্য ডুবে, মেঘে ঢাকা পরে
দিন হয় রাত হয়, পৃথিবীটা ঘুরে ,
এক একটা ঘূর্ণির পরে পিতৃঋণ বাড়ে
আঠারো বসন্তের পরে পরিচয় পত্র
বিমানে চড়ার ছাড়পত্রও হতে পারে   -
   আমি ভোটার ; দেশে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ে ।


পড়াশোনা ভালোমন্দের বিচার হবে পরে
পড়তে চাইলে মা-বাবার দে'য়া নামের পাশে
আরেকটা নাম  - আমি ভোটার বটে ।


মিছিলে নাই বা গেলে মেধার দেমাকে
কর্ম যদি চাই তবে, ভোটার হতে হবে ।
মাথার উপর ছাউনী তোমার নাই বা হলো
চাই যদি মৌলিক অধিকার
      তবে বলো - আমি ভোটার ।
জমি তোমার সগর্ভা, থাকুক না উর্ব্বরতা
ফসলের আগে ভোটার না হলে
সুসন্তানের স্বপ্নে শুধুই বিফলতা ।


সুর্যালোকের 'ডি"তে হাড় শক্ত করে
প্রতিবাদের প্রতিবাদে যখন চলে
রক্তের হোলি খেলা, আর্তচিৎকারে যখন
মুখে ফুটে "মা",
পাশে থাকা অন্যসব বাবা-মায়েরা
জাহির করে অর্জিত অধিকার,
"এই প্রতিবাদী আমার ভোটার" ।


চারিদিকে মানুষের এখন একটাই নাম,
ভোটার - ভোটার - ভোটার ;
দেশপ্রেমী ভোটার, দেশদ্রোহী ভোটার
কৃষক ভোটার , শ্রমিক ভোটার,
সুশীল ভোটার , নতুন ভোটার ,
আমার ভোটার, তোমার ভোটার ।


ভোট যেন আমাদের পিতা-মাতা
ভোট যেন আমাদের হর্তা-কর্ত্তা - বিধাতা ,
ভোটার না হলে তোমার নেই অধিকার
বেঁচে থাকার, কথা বলার ,
লড়াই করার, বেড়ে উঠার ।
ভোটার না হলে তোমার ঠাঁই নেই
মন্দির - মসজিদ - গীর্জায় ,
ভোটার না হলে তোমার দায় নেই
ধর্ম বা ধর্মান্ধতায় ।
নাগরিক নাই বা হলে
চাই না পিতৃ পরিচয়,
বেঁচে থাকার স্বার্থে তোমার
হতে হবে ভোটার,
নেতাদের মসনদ দেবার জন্য ।