বাছাই করা স্বরচিত কবিতার আবৃত্তি শেষে
হল ভরা লোকের করতালি পেলে
যে অমোঘ আত্মতৃপ্তি মেলে,
তোমার সাথে বেলা শেষে ইছামতীর তীরে
কিছুটা সময় কাটালে
সেই অনুভূতিটা জাগ্রত হয় ।
দুপুরের তপ্ত বালুকার অবশিষ্ট উত্তাপ
রোমকূপের শিহরণ নিয়ে
ফিরে যাবার পথে গোধূলি বেলায়
আরেকবার ফিরে তাকায়
তোমার ঘাম বিধ্বস্ত মেকাপের দিকে ।
মৃত ঝিনুকের কঙ্কাল বেয়ে বাতাস যখন
আমাদের দেহ ছুঁয়ে হু হু করে
সমতলের পথ ধরে... বয়ে নিয়ে যায়
হাজারো আশঙ্কা,
রটনার ডালপালা, নিন্দার ঝোপঝাড়,
বদনামের চরাই উৎরাই পেড়িয়ে
একসময় মিশে গিয়ে সাগরে  ।
ইছামতীর মৃদু স্রোত আমাদের পা ছূঁয়ে
ছলাৎ ছলাৎ করে গাঁ এর পর গাঁ বেয়ে
মোহনায় যাবার আগে বাঁকা হাসি রেখে যায়
কবিতার খাতায়, ছন্দের দ্বন্দ্ব দিয়ে
সম্পর্কের ঋতুচক্র গাঁথা ।
অতঃপর এই গভীর ভালোবাসার মাধুর্য খোঁজে পাই
তোমার অবহেলায় ,
টান পরে পকেটের শিরা উপশিরায় ।