ভয় দেখাবি কীসে আমায় ভয় দেখাবি কীসে !
এক প্রস্থ আতঙ্ক , এক প্রস্থ প্রহার
এক নদী ভয় ভীতি , এক সাগর  হুঙ্কার
এক পাহাড় চক্রান্ত, এক আকাশ হাহাকার
নেই তো কিছুই আর , যা ছিল অহংকার ।

ভয় দেখাবি কীসে আমায় আর ভয় দেখাবি কীসে
রক্তের ভয়! মৃত্যুর ভয়! ভয় স্বজন হারাবার!
ওসব আগেই জয় করেছি,  ভেঙে কারাগার।

ঘন কালো মেঘ ভেঙ্গে আকাশের বুক চিরে
বন্দী করেছি রোদ কে আমার এই ছোট্ট নীড়ে,
সাগরের ঢেউ থামিয়ে পৃথিবীর পাতাল ফোঁড়ে
সাত রাজার ধন খুঁজেছি মৃত্যুকে ঠেলে দূরে ।
আধার ভালো বলে স্নিগ্ধ লাল সোনালী ভোরে
সূর্য কে থামিয়ে দিয়েছি, তলিয়ে দিয়েছি গহ্বরে।

ভয় দেখাবি কীসে আমায় আর ভয় দেখাবি কীসে
হাঙরের দাঁত ভেঙে চোঁয়াল ছিড়ে ছিন্নভিন্ন করে
হায়নার হাসিকে করেছি জয় প্রিয়জনকে ছেড়ে,
বিষ দাঁত উপরে ফেলে পোষ্য করেছি বিষধর
মৃত্যুর ওপারের সুখ দুঃখ এখন আমার সহচর।

ভয় দেখাবি কীসে আমায় আর ভয় দেখাবি কীসে !
আক্রান্ত  জনতার  অসহ্য যন্ত্রনার  মুক্তির বাতাসে
আমি যে ইতিহাস হয়ে গেছি অনেক আগে ইতিহাসে ;
লাঞ্ছনা, যন্ত্রণা, গঞ্জনা, আক্রমন, চক্রান্ত,  সংকট
মৃতের উপন্যাসে মৃত্যুর দ্বারে নিতান্তই প্রহসন, উদ্ভট।


ভয় শুধু সঙ্গ না ছাড়ে আমার নিষ্ঠা-সততা-সহমর্মিতা
নির্মল হাসি মাখা মুখখানা, আদর্শে একাগ্র চিত্ততা ।