চোখ দুটো মোর সুদূর প্রান্তে চেয়ে আছে অপেক্ষাতে
আসবে কবে পলাশ নিয়ে বসন্তের ফাগুন প্রাতে,
আধার গহীন রাত কাটিয়ে রক্ত মাখা অশ্রুতে
ভোরের আলো দেখবে বলে বেঁচে আছে প্রতীক্ষাতে ।


হাত দুটো মোর বুকের মধ্যে প্রার্থনার ভঙিতে
উপাসনায় রত শত দুর্গম গিরি লঙিতে,
দু মুঠো ভাত জোগাড় করার নির্বোধ সন্ধিতে
ঝরছে ঘাম ঝরছে রক্ত চক্রবূহের বন্দি’তে ।


পদ যুগল আজ নিশ্চল বিকলাঙ্গের চুক্তিতে
বিব্রত অনুভূতিহীন রক্তচক্ষুর ভীতিতে,
নরপিশাচ হায়নার দল নিয়ত উন্মত্ত উত্থিতে
আশান্বিত নিথর দেহখানা বেঁচে আছে নিভৃতে ।


জীবন্ত লাশের মিছিল বেয়ে মৃত্যুর দোয়ারে
কৃতঘ্ন হই ঈশ্বরে বারে বারে,
দুষ্মন্তের বিচার চাই রাজ দরবারে
অবসান চাই প্রতীক্ষার গণতন্ত্রের জোয়ারে ।